ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আইআইইউসিতে ক্লাসরুম সংকট নিরসন, ল্যাব স্থাপন সহ ৭ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্বারক লিপি প্রদান Logo ৪০ দেশের প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন Logo ফজলুর রহমানের দলীয় পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করলো বিএনপি Logo শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান Logo পরীক্ষার সময় ছাত্রদলের উচ্চস্বরে স্লোগান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা Logo ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের পোস্টার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ ব্যত্যয় না করার আহবান Logo শপথ নিয়েছেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি Logo বিমানবন্দরে বিদেশি নারীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার মাদক জব্দ Logo ডাকসু নির্বাচনে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী

খেলনা ভেবে মর্টার শেল নিয়ে খেলছিল শিশুরা, হঠাৎ বিস্ফোরণ নিহত পাঁচ

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় শিশুদের হাতে আবারও ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাঠে খুঁজে পাওয়া একটি মর্টার শেলকে খেলনা ভেবে ঘরে নিয়ে গিয়েছিল তারা। এরপর সেটি আচমকা বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় পাঁচ শিশু। আহত হয় আরও অন্তত ১২ জন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

শনিবার (১২ আগস্ট) এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত জেলার সোরবন্দ গ্রামে। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে ডন পত্রিকা জানায়, শিশুরা মাঠে খেলছিল, সে সময় তারা মর্টার শেলটি খুঁজে পায়। খেলনা ভেবে সেটি গ্রামে এনে খেলতে থাকে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেটি বিস্ফোরিত হয়।

বান্নু অঞ্চলের পুলিশ মুখপাত্র আমির খান বলেন, নিহত ও আহত শিশুদের খলিফা গুল নওয়াজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।

বান্নু রেঞ্জের আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা (আরপিও) সাজ্জাদ খান হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাস্থলে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল পাঠানো হয়েছে। তারা প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করেছে এবং পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আরপিও আশ্বাস দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে এবং যারা দায়ী, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

পাকিস্তানে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন নয়। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অপারেশন চলা এলাকাগুলোতে প্রায়ই বিস্ফোরক দ্রব্য পড়ে থাকে, যা খেলনা ভেবে শিশুদের হাতে চলে আসে।

২০২৩ সালের অক্টোবরেও এমনই এক ঘটনা ঘটে বেলুচিস্তানের ওয়াধ শহরের জারচাইন এলাকায়। সেখানেও একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক শিশু নিহত এবং আটজন আহত হয়।

তার আগের মাসে, সিন্ধু প্রদেশের কাশমোর জেলার একটি বাড়িতে রকেট লঞ্চারের গোলা বিস্ফোরিত হলে চার শিশুসহ নয়জন প্রাণ হারায় এবং একজন নারী আহত হন।

এ ধরনের বিপজ্জনক বিস্ফোরকদ্রব্য অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকায় শিশুদের জীবন বারবার ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আইআইইউসিতে ক্লাসরুম সংকট নিরসন, ল্যাব স্থাপন সহ ৭ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্বারক লিপি প্রদান

খেলনা ভেবে মর্টার শেল নিয়ে খেলছিল শিশুরা, হঠাৎ বিস্ফোরণ নিহত পাঁচ

আপডেট সময় ১১:২১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় শিশুদের হাতে আবারও ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাঠে খুঁজে পাওয়া একটি মর্টার শেলকে খেলনা ভেবে ঘরে নিয়ে গিয়েছিল তারা। এরপর সেটি আচমকা বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় পাঁচ শিশু। আহত হয় আরও অন্তত ১২ জন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

শনিবার (১২ আগস্ট) এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত জেলার সোরবন্দ গ্রামে। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে ডন পত্রিকা জানায়, শিশুরা মাঠে খেলছিল, সে সময় তারা মর্টার শেলটি খুঁজে পায়। খেলনা ভেবে সেটি গ্রামে এনে খেলতে থাকে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেটি বিস্ফোরিত হয়।

বান্নু অঞ্চলের পুলিশ মুখপাত্র আমির খান বলেন, নিহত ও আহত শিশুদের খলিফা গুল নওয়াজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।

বান্নু রেঞ্জের আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা (আরপিও) সাজ্জাদ খান হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাস্থলে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল পাঠানো হয়েছে। তারা প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করেছে এবং পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আরপিও আশ্বাস দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে এবং যারা দায়ী, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

পাকিস্তানে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন নয়। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অপারেশন চলা এলাকাগুলোতে প্রায়ই বিস্ফোরক দ্রব্য পড়ে থাকে, যা খেলনা ভেবে শিশুদের হাতে চলে আসে।

২০২৩ সালের অক্টোবরেও এমনই এক ঘটনা ঘটে বেলুচিস্তানের ওয়াধ শহরের জারচাইন এলাকায়। সেখানেও একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক শিশু নিহত এবং আটজন আহত হয়।

তার আগের মাসে, সিন্ধু প্রদেশের কাশমোর জেলার একটি বাড়িতে রকেট লঞ্চারের গোলা বিস্ফোরিত হলে চার শিশুসহ নয়জন প্রাণ হারায় এবং একজন নারী আহত হন।

এ ধরনের বিপজ্জনক বিস্ফোরকদ্রব্য অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকায় শিশুদের জীবন বারবার ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।