ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাতে ব্যালট বক্সের সাথে ছাত্রদল নেতা, সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট Logo চলছে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ , চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত Logo জাকসু নির্বাচন : নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি নেতারা Logo জাবির বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত: জাহিদুল ইসলাম Logo আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি পরিক্ষায় প্রথমস্থান অর্জন করেছে মুন্সিগঞ্জের শিহাব Logo আজ কখন বজ্রবৃষ্টি ঢাকায়,জানাল আবহাওয়া অফিস Logo শ্রীমঙ্গলে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাচালানের পণ্যসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo জাতীয় নির্বাচনে তিন হাজার ভোটারের জন্য থাকবে একটি কেন্দ্র Logo দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসুতে ভোট আজ Logo সেন্টমার্টিন থেকে ৪০ বাংলাদেশী জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

এখন পর্যন্ত যেই ছেলেটার নামে একটাও অসততার অভিযোগ আসেনি, তার নাম আবু সাদিক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবিরের ভূমিকা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) খোলাসা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এবার সাদিককে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ বিষয় উল্লেখ করেন সায়ের।

তিনি লেখেন, জুলাই আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে ছিল এবং ৫ই আগস্ট ২০২৪ পর এখনও পর্যন্ত যেই ছেলেটার নামে একটাও অসততার অভিযোগ আসেনি, তার নাম মো. আবু সাদিক।

সায়ের আরও সতর্ক করে লেখেন, স্বাভাবিকভাবেই তাকে ও তার শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে অনেকে মুখরোচক চটকদার আলাপ তৈরি করবে। কিন্তু এসব আলাপ তৈরি করে কি নিজেদের গোপনতম সত্য লুকানো সম্ভব হবে?

এর আগে, নাহিদ ফেসবুকে লেখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবিরের ভূমিকা প্রসঙ্গে সাবেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটা টকশোতে বলেছেন ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল, শিবিরের ইনস্ট্রাকশনে আমরা কাজ করতাম। এটা মিথ্যাচার। ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রের সঙ্গে জড়িত একটা অংশ এবং ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগ করা একটা অংশ মিলে ছাত্রশক্তি গঠিত হয়। সঙ্গে জাবির একটা স্টাডি সার্কেলও যুক্ত হয়। একটা নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করা হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসে আট বছর রাজনীতি করছি। ফলে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব সংগঠন ও নেতৃত্বকে আমরা চিনতাম এবং সব পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ঢাবি শিবিরের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ, সম্পর্ক বা কখনো সহযোগিতা করা মানে এই না যে তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।

তিনি আরও লেখেন, সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু ৫ অগাস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কায়েমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাদিক কায়েমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা করেছে এই অভ্যুত্থান ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিয়েছে, আমরা সামনে শুধু পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করে নাই। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক নয়, শিবিরের ইনস্ট্রাকশন বা ডিরেকশনও হয় নাই। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে সে বিষয়ে অন্যদিন বলব।

এরপরই নাহিদদের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম। বলেন, ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমার ভূমিকাকে খাটো করার অপচেষ্টা শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং তা আন্দোলনের সৎ ইতিহাস রচনায় বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাতে ব্যালট বক্সের সাথে ছাত্রদল নেতা, সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট

এখন পর্যন্ত যেই ছেলেটার নামে একটাও অসততার অভিযোগ আসেনি, তার নাম আবু সাদিক

আপডেট সময় ০৯:০২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবিরের ভূমিকা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) খোলাসা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এবার সাদিককে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ বিষয় উল্লেখ করেন সায়ের।

তিনি লেখেন, জুলাই আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে ছিল এবং ৫ই আগস্ট ২০২৪ পর এখনও পর্যন্ত যেই ছেলেটার নামে একটাও অসততার অভিযোগ আসেনি, তার নাম মো. আবু সাদিক।

সায়ের আরও সতর্ক করে লেখেন, স্বাভাবিকভাবেই তাকে ও তার শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে অনেকে মুখরোচক চটকদার আলাপ তৈরি করবে। কিন্তু এসব আলাপ তৈরি করে কি নিজেদের গোপনতম সত্য লুকানো সম্ভব হবে?

এর আগে, নাহিদ ফেসবুকে লেখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবিরের ভূমিকা প্রসঙ্গে সাবেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটা টকশোতে বলেছেন ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল, শিবিরের ইনস্ট্রাকশনে আমরা কাজ করতাম। এটা মিথ্যাচার। ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রের সঙ্গে জড়িত একটা অংশ এবং ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগ করা একটা অংশ মিলে ছাত্রশক্তি গঠিত হয়। সঙ্গে জাবির একটা স্টাডি সার্কেলও যুক্ত হয়। একটা নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করা হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসে আট বছর রাজনীতি করছি। ফলে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব সংগঠন ও নেতৃত্বকে আমরা চিনতাম এবং সব পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ঢাবি শিবিরের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ, সম্পর্ক বা কখনো সহযোগিতা করা মানে এই না যে তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।

তিনি আরও লেখেন, সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু ৫ অগাস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কায়েমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাদিক কায়েমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা করেছে এই অভ্যুত্থান ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিয়েছে, আমরা সামনে শুধু পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করে নাই। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক নয়, শিবিরের ইনস্ট্রাকশন বা ডিরেকশনও হয় নাই। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে সে বিষয়ে অন্যদিন বলব।

এরপরই নাহিদদের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম। বলেন, ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমার ভূমিকাকে খাটো করার অপচেষ্টা শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং তা আন্দোলনের সৎ ইতিহাস রচনায় বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।