কাউনিয়ার টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিনোদ মাঝি গ্রামে ভাই এর সাথে ভাইয়ের জমি বন্ধক দেওয়া নেওয়া কে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মারামারি করতে গিয়ে প্রাণ গেলো হুমায়ুন আহমেদ (২৫) ।
মৃত হুমায়ন আহম্মেদ বুধবার সকালে ৮ দিন চিকি’ৎসাধীন থাকা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
পারিবারিক ও থানা সূত্রে জানাগেছে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিনোদন মাঝি গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র মহির উদ্দিনের সাথে জমি বন্ধক দেওয়া নেওয়া করেন একই এলাকার ভাই জহুরুলের সাথে।
সেই বন্ধকের টাকাকে কেন্দ্র করে ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে মহির উদ্দিন ও ভাই জহুরুল এর স্ত্রী এর সাথে বাক-বিতন্ডতা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার পর দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-ঝামেলা, দুরুত্ব তৈরী হয়।
ঘটনার আগের দিন রাতে (২২ জুলাই) স্থানীয় এলাকাবাসী ও পারিবারিক অভিবাবকদের উপস্থিতে দু’পক্ষের মধ্যে সঠিক বিচারের মাধ্যমে জমি বন্ধক বাবদ টাকা জহুরুলের স্ত্রীর কাছে তুলে দেন অভিযুক্ত মহির উদ্দিন এবং গায়ে হাত তোলার কারনে মহির উদ্দিন তার ভাবীর হাত-পা ধরে মাফ চান । কিন্তু জহুরুল ইসলামের পরিবার সেই বিচারে অখুসি ছিলেন এবং উপস্থিতি সকলের সামনে চাচা মহিরকে মারাম হুমকি দিয়ে চলে যান।
মূল ঘটনার দিন সকালে(২৩ জুলাই) চাচা মহির উদ্দিন বাজার যাওয়ার সময় দুই ভাই রাস্তায় আটকিয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করেন । তখন চাচা মহির ও ভাতিজাদের সাথে ধাস্তধস্তি সময় সুচালো কিছু দিয়ে ভাতিজা হুমায়ন (২৫) কে আঘাত করে আহত অবস্থায় হুমায়নকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে তাকে পরদিন ২৪ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আটদিন চিকিৎসারত অবস্থায় থাকার পর বুধবার সকালে মারা যায়। মৃত হুমায়ন টেপামধুপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন
কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল লতিফ শাহ বলেন নিহত হুমায়ুন আহমেদের মাতা ও ভাই সাথে যোগাযোগ হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফনের পর তারা মামলা দায়ের করবেন।
ঢাকা ভয়েস/২৪জে