শোকের প্রতিক কালো,কিন্ত সেই শোক যদি হয় শহীদের তাজা রক্তের সাথে বেইমানি,রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল জন্য, শহিদের রক্ত কালো করা মানুষ গুলি করে হত্যা করা জায়েজ করার জন্য স্বৈরাচর পালাতক হাসিনা সরকার শোক দিবস পালন করার নাটক সজায়।
এর প্রতিবাদে গত বছরের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর ক্ষত তৈরি করেছিল বর্বরতা ও নিপীড়নের নির্মম চিত্র। শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের উপর চালানো রক্তাক্ত হামলার প্রতিবাদে সেদিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে তরুণ-তরুণীরা একযোগে নিজেদের প্রোফাইল ছবি লাল রঙে রাঙিয়ে তুলেছিল—প্রতীক হিসেবে রক্ত, প্রতিবাদ ও প্রতিজ্ঞার।
আজ সেই ঐতিহাসিক ৩০ জুলাই। দিনটি স্মরণে বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষার্থী, সচেতন নাগরিক ও ডিজিটাল আন্দোলনকর্মীরা আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রোফাইল লাল করে তুলেছেন। তারা বলছেন—“আমরা ভুলিনি, ভুলব না।” এ যেন এক নীরব প্রতিবাদ, আবার উচ্চকিত আর্তনাদ; ন্যায়ের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার ডিজিটাল মাধ্যম।
২০২৪ সালের জুলাই মাসজুড়ে যে গণআন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল, তা ছিল বৈষম্য, দুর্নীতি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এক সম্মিলিত প্রতিরোধ। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায় নেমে আসে লাখো মানুষ। পুলিশের গুলিতে, লাঠিচার্জে, গ্রেফতার ও নির্যাতনে অনেক তরুণ আহত হন, কেউ কেউ হারান চিরতরের মতো জীবন। সেই দিনগুলোর স্মৃতিই আজকের ‘প্রোফাইল লাল’ দিবসের পেছনে প্রেরণা।
ডিজিটাল স্মরণসভা ও পোস্টার ক্যাম্পেইন:স্মরণ দিবস উপলক্ষে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চলছে স্মৃতিচারণ, ব্যানার-পোস্টার শেয়ার এবং গণআবেদনের ডাক। “রক্তের ইতিহাস লালেই লেখা হয়”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদী পোস্ট, কবিতা ও ভিডিও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আমাদের ভাই-বোনদের হারিয়েছি। এই লাল রঙ আমাদের বেদনা, আবার শক্তিও। আমাদের স্মৃতি কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।”
একটি প্রশ্ন, একটি প্রতিজ্ঞা:এই স্মরণ শুধু শোক নয়—একটি প্রতিজ্ঞাও। প্রশ্ন জাগে—বিচার কোথায়? উত্তরহীন থাকুক না ইতিহাস, কিন্তু প্রজন্মের মননে গেঁথে থাকবে সে রক্তাক্ত জুলাই।
আজকের লাল প্রোফাইল সেই অঙ্গীকারেরই স্মারক।