খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার একটি মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত ৭ টন খাদ্যশস্য আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা ও সমন্বয়ক আমনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সূত্র জানায়, বরাদ্দকৃত এই খাদ্য সংগ্রহের জন্য আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়েছিল। তবে কিছুদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে দুইজন প্রতিনিধি ওই মসজিদে গিয়ে খোঁজখবর নেন। তাঁরা মসজিদের সভাপতির সঙ্গে কথা বললে জানা যায়—মসজিদ কোনো ধরনের বরাদ্দ পায়নি।
পরবর্তীতে তদন্তের একপর্যায়ে আমন নিজেই স্বীকার করেন যে তিনি ৭ টন চাউল আত্মসাৎ করেছেন। আত্মসাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর গতকাল রাত ৯টায় তাকে নিয়ে গুইমারা উপজেলা বিএনপি অফিসে বিচার বসে। সেখানে দলীয়ভাবে তাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এমন কর্মকাণ্ড অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়। অনেকেই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।