ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড

নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্র ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৭ সালে মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে রানী বেগমের সঙ্গে নিয়ামতপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে মোস্তাফিজুরকে ৪০ হাজার টাকা, একটি ভ্যানগাড়ি এবং একটি সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই মোস্তাফিজুর রানী বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা না আনায় স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট রাতে যৌতুকের দাবিতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে মোস্তাফিজুর কাঠের খ্যাটা (হাতুড়ি) দিয়ে মাথায় আঘাত করে রানী বেগমকে হত্যা করেন। পরদিন নিহতের বাবা আনিছুর রহমান বাদী হয়ে নিয়ামতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর নিয়ামতপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ইকবাল জামিল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ রায় যুগান্তকারী। এতে করে যৌতুকের দাবিতে নারীর ওপর সহিংসতা কমবে এবং সমাজে আইন প্রতিষ্ঠা পাবে।’ অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড

আপডেট সময় ০৯:০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্র ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৭ সালে মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে রানী বেগমের সঙ্গে নিয়ামতপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে মোস্তাফিজুরকে ৪০ হাজার টাকা, একটি ভ্যানগাড়ি এবং একটি সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই মোস্তাফিজুর রানী বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা না আনায় স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট রাতে যৌতুকের দাবিতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে মোস্তাফিজুর কাঠের খ্যাটা (হাতুড়ি) দিয়ে মাথায় আঘাত করে রানী বেগমকে হত্যা করেন। পরদিন নিহতের বাবা আনিছুর রহমান বাদী হয়ে নিয়ামতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর নিয়ামতপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ইকবাল জামিল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ রায় যুগান্তকারী। এতে করে যৌতুকের দাবিতে নারীর ওপর সহিংসতা কমবে এবং সমাজে আইন প্রতিষ্ঠা পাবে।’ অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।