ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ Logo বাকসু নিয়ে বিতর্কিত গণভোট আয়োজনের অভিযোগ ববি ছাত্র কাউন্সিলের বিরুদ্ধে Logo ‎বাগেরহাটে আসন কমানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী, করেছে বিক্ষোভ ‎ Logo উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া Logo ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo নওগাঁয় আলু চাষিদের বিক্ষোভ: ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ Logo বিএনপি অফিসের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo ৪০০ এসএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা দিল জুড়ী ছাত্রশিবির Logo ৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ৩০ জুলাই ফেসবুকে‘প্রোফাইল লাল’করে প্রতিবাদ

চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রতিবাদে সম্মেলন করেন নাটোর জেলা জামায়াত

নাটোরের বড়াইগ্রামে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে ১০টি দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

গত সোমবার (২৮ জুলাই) বিকালে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রোজ সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জমি জমার দ্বন্দ্ব হলেও ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাঁদাবাজির মামলা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে জামায়াতকে হাইলাইট করে সংবাদ প্রচারের পর আজ ২৯ জুলাই মঙ্গলবার সাহারা প্লাজা, কানাইখালী, নাটোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা শাখা।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার আহম্মেদপুর গ্রামের মৃত বন্দে আলী মিয়ার ছেলে মুজিবুর রহমান (৬৫), তার ছেলে জোয়াড়ী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই বিএনপির কর্মী হায়দার আলী (৪৮) ও জামায়াত কর্মী আজিমউদ্দিন (৪০)।

স্থানীয়রা জানান, আহম্মেদপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের সাথে প্রতিপক্ষ নওপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, কোরবান আলী, শাহ আলম ও মোতালেব হোসেনের ৬ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনায় আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।

এদিকে, বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবেও একাধিক সালিশ বৈঠক হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুজিবুর রহমানের ছেলেরা বিবাদমান জমিতে থাকা ১০ টি দোকানে তালা মেরে দেন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করেন এবং তালা খুলে দেন।

নওপাড়া গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘আমরা ক্রয় সুত্রে এ জমির মালিক। জমি কিনে সেখানে আমরা দোকান করেছি। কিন্তু তারা এ জমি তাদের বলে দাবি করে দোকানে তালা দিয়েছে। পরে বিকেলে সেনাবাহিনী ও বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অপর ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দোকানের দখল না পেয়ে তারা আমাদের কাছে মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা চেয়েছে। আমরা তা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা দোকানে তালা দিয়েছে।

এদিকে গ্রেপ্তারের আগে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘ওই জমি আমাদের। তারা ২২ শতক জমি কিনেছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ৬ শতকসহ পুরো জমি দখল করে রেখেছেন। আমাদের অংশের জমি ছাড়তে বললেও তারা ছাড়ছেন না। আমরা জমি না ছাড়লে দোকানের ভাড়ার টাকা দিতে বলেছিলাম, চাঁদা নয়। এ বিষয়ে আমরা আদালতে মামলা করেছি। তবে এভাবে দোকানে তালা দেওয়া আমাদের ঠিক হয়নি।’

বিএনপি কর্মী হায়দার আলী বলেন, ‘উভয় পক্ষের সঙ্গে জমির সমস্যাটি সমাধানের জন্য স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির কয়েকজন নেতার নেতৃত্ব একটি কমিটি করা হয়। কিন্তু তারা (দোকানিরা) এ কমিটির কথাও মানেন না। তাই আমরা আমাদের জমি দখল করেছি।’

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দোকানে তালা দেয়া ও চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে জমি জমার দ্বন্দ্ব হলেও সেটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য জামায়াতকে হাইলাইট করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ করার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাটোর জেলা জায়ামাতে ইসলামী।

তারা বলেন, এটি কোন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা চাঁদাবাজির ঘটনা নয় তবুও এটাকে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। জমিজমার দ্বন্দ্বে স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন দলের মানুষরা জড়িত হলেও শুধুমাত্র জামায়াতকে হাইলাইট করে সংবাদ প্রচার করে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে।

জামায়াত কোন চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত না হলেও এই সংবাদ এর প্রেক্ষিতে সারাদেশে ব্যাপকভাবে জামায়াতের ইমেজকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার নিন্দা জানান ও ভবিষ্যতে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়ার জন্য সংবাদ কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম বলেন, তবুও অভ্যন্তরীণভাবে আমরা একটি কমিটি করেছি এই কমিটি তদন্ত করে দেখবে যদি এ ধরনের কোন ঘটনার সাথে জামায়াত কর্মীরা জড়িত থাকে তাদেরকে অবশ্যই দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

সে ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান ও সংগঠনের সরাসরি নির্দেশনা রয়েছে। তবে পারিবারিক একটি দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রূপ দিয়ে সাংগঠনিক পরিচয় ব্যবহার করে সংবাদ প্রচার করা দুঃখজনক।

সংবাদ সম্মেলনে নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাকিম ও আতিকুল ইসলাম রাসেল সহ উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ

চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রতিবাদে সম্মেলন করেন নাটোর জেলা জামায়াত

আপডেট সময় ০৭:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

নাটোরের বড়াইগ্রামে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে ১০টি দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

গত সোমবার (২৮ জুলাই) বিকালে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রোজ সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জমি জমার দ্বন্দ্ব হলেও ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাঁদাবাজির মামলা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে জামায়াতকে হাইলাইট করে সংবাদ প্রচারের পর আজ ২৯ জুলাই মঙ্গলবার সাহারা প্লাজা, কানাইখালী, নাটোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা শাখা।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার আহম্মেদপুর গ্রামের মৃত বন্দে আলী মিয়ার ছেলে মুজিবুর রহমান (৬৫), তার ছেলে জোয়াড়ী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই বিএনপির কর্মী হায়দার আলী (৪৮) ও জামায়াত কর্মী আজিমউদ্দিন (৪০)।

স্থানীয়রা জানান, আহম্মেদপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের সাথে প্রতিপক্ষ নওপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, কোরবান আলী, শাহ আলম ও মোতালেব হোসেনের ৬ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনায় আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।

এদিকে, বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবেও একাধিক সালিশ বৈঠক হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুজিবুর রহমানের ছেলেরা বিবাদমান জমিতে থাকা ১০ টি দোকানে তালা মেরে দেন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করেন এবং তালা খুলে দেন।

নওপাড়া গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘আমরা ক্রয় সুত্রে এ জমির মালিক। জমি কিনে সেখানে আমরা দোকান করেছি। কিন্তু তারা এ জমি তাদের বলে দাবি করে দোকানে তালা দিয়েছে। পরে বিকেলে সেনাবাহিনী ও বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অপর ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দোকানের দখল না পেয়ে তারা আমাদের কাছে মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা চেয়েছে। আমরা তা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা দোকানে তালা দিয়েছে।

এদিকে গ্রেপ্তারের আগে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘ওই জমি আমাদের। তারা ২২ শতক জমি কিনেছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ৬ শতকসহ পুরো জমি দখল করে রেখেছেন। আমাদের অংশের জমি ছাড়তে বললেও তারা ছাড়ছেন না। আমরা জমি না ছাড়লে দোকানের ভাড়ার টাকা দিতে বলেছিলাম, চাঁদা নয়। এ বিষয়ে আমরা আদালতে মামলা করেছি। তবে এভাবে দোকানে তালা দেওয়া আমাদের ঠিক হয়নি।’

বিএনপি কর্মী হায়দার আলী বলেন, ‘উভয় পক্ষের সঙ্গে জমির সমস্যাটি সমাধানের জন্য স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির কয়েকজন নেতার নেতৃত্ব একটি কমিটি করা হয়। কিন্তু তারা (দোকানিরা) এ কমিটির কথাও মানেন না। তাই আমরা আমাদের জমি দখল করেছি।’

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দোকানে তালা দেয়া ও চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে জমি জমার দ্বন্দ্ব হলেও সেটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য জামায়াতকে হাইলাইট করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ করার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাটোর জেলা জায়ামাতে ইসলামী।

তারা বলেন, এটি কোন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা চাঁদাবাজির ঘটনা নয় তবুও এটাকে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। জমিজমার দ্বন্দ্বে স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন দলের মানুষরা জড়িত হলেও শুধুমাত্র জামায়াতকে হাইলাইট করে সংবাদ প্রচার করে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে।

জামায়াত কোন চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত না হলেও এই সংবাদ এর প্রেক্ষিতে সারাদেশে ব্যাপকভাবে জামায়াতের ইমেজকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার নিন্দা জানান ও ভবিষ্যতে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়ার জন্য সংবাদ কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম বলেন, তবুও অভ্যন্তরীণভাবে আমরা একটি কমিটি করেছি এই কমিটি তদন্ত করে দেখবে যদি এ ধরনের কোন ঘটনার সাথে জামায়াত কর্মীরা জড়িত থাকে তাদেরকে অবশ্যই দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

সে ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান ও সংগঠনের সরাসরি নির্দেশনা রয়েছে। তবে পারিবারিক একটি দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রূপ দিয়ে সাংগঠনিক পরিচয় ব্যবহার করে সংবাদ প্রচার করা দুঃখজনক।

সংবাদ সম্মেলনে নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাকিম ও আতিকুল ইসলাম রাসেল সহ উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।