ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেখ হাসিনা যা চাচ্ছেন, পিআর পদ্ধতি অনেকটা ওইরকম: রিজভী Logo কেন্দ্র দখল করলেই ভোট বাতিল করা হবে: সিইসি নাসির উদ্দিন Logo বাজারে কমছে চালের দাম,বন্দরে ঢুকছে ভারতীয় চাল বোঝাই শত শত ট্রাক Logo চকরিয়া থানায় যুবকের মৃত্যু: এএসআইসহ ৩ পুলিশ প্রত্যাহার Logo ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ, পদত্যাগ করলেন ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo কিশোরগঞ্জে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, দুই নেতাকে বহিষ্কার Logo জাকসুতে কর্মী সংকটে প্যানেল ঘোষণা করতে পারছে না বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো Logo আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার Logo দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস Logo লিটনকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

প্রায় ১৫ মাস পর মুক্তি পেলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বোন সিরাজুম মুনিরা ।

কারা থেকে মুক্তির পর খাদিজা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা হন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। সোমবার থেকে খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় দ্রুত আদেশের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয় প্রধান বিচারপতির কাছে। এরই প্রেক্ষিতে তিনি যথাযথ নির্দেশ প্রদান করেন।

গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত তার আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা কারা ফটকে অপেক্ষা করলেও মুক্তি মেলেনি। পরে সোমবার সকালে মুক্তি পান তিনি।

অনলাইনে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।

২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেফতার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন না মঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ। ধারাবাহিতকায় বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। গত ১৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজার হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা যা চাচ্ছেন, পিআর পদ্ধতি অনেকটা ওইরকম: রিজভী

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

আপডেট সময় ১০:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

প্রায় ১৫ মাস পর মুক্তি পেলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বোন সিরাজুম মুনিরা ।

কারা থেকে মুক্তির পর খাদিজা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা হন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। সোমবার থেকে খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় দ্রুত আদেশের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয় প্রধান বিচারপতির কাছে। এরই প্রেক্ষিতে তিনি যথাযথ নির্দেশ প্রদান করেন।

গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত তার আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা কারা ফটকে অপেক্ষা করলেও মুক্তি মেলেনি। পরে সোমবার সকালে মুক্তি পান তিনি।

অনলাইনে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।

২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেফতার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন না মঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ। ধারাবাহিতকায় বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। গত ১৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজার হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন।