দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদ ও সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, তা অনুসন্ধানে দুদকের কোনো বাধা নেই।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগ দুদকের তালিকাভুক্ত (সিডিউলভুক্ত) অপরাধ নয়। তবে কেউ যদি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে থাকেন, সেটি দুদকের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। সে ক্ষেত্রে কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।”
অবৈধ সম্পদের বিষয়ে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে আমাদের বাধা নেই।’
এর আগে গত ২৬ জুলাই রাজধানীর গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন মো. রিয়াদ, মো. সিয়াম, মো. সাদাফ, মো. ইব্রাহীম ও মো. আমিনুল। তাদের মধ্যে রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির নেতা বলে জানান গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৭ জুলাই গুলশানে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির দুই নেতা রিয়াদ, অপুসহ কয়েকজন। সেদিন বাসায় ছিলেন শাম্মী আহমেদের স্বামী। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। পরে শাম্মী আহমেদের স্বামী ১০ লাখ টাকা চাঁদাও দেন।
পরে ২৬ জুলাই রাত ৮টার দিকে চাঁদার বাকি টাকা নিতে যান তারা। পুলিশ আগে থেকে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে।