ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলো বিএনপি

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।

২০২৪ সালে বিএনপির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। পাশাপাশি গতবছর বিভিন্ন খাতে দলটির ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। এই হিসাবে উদ্বৃত্ত আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।

বিএনপি বলছে, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ ও এককালীন অনুদান থেকে বাৎসরিক এই আয় এসেছে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচী বাস্তবায়ন, লিফলেট-পোস্টার ছাপানোর মতো কাজগুলোয় ব্যয় করেছে দলটি।

আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার পর রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আগে নির্বচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হারিয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল নির্বাচন কমিশন। দিনের ভোট রাতে করেছিল। প্রতিবাদ করায় অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছিল বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল।

মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা- তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে ইসি। নির্বাচন কমিশন একটি আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে এটাই প্রত্যাশা করে বিএনপি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে ‘জুলাই বিপ্লব ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলো বিএনপি

আপডেট সময় ১১:২৫:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।

২০২৪ সালে বিএনপির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। পাশাপাশি গতবছর বিভিন্ন খাতে দলটির ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। এই হিসাবে উদ্বৃত্ত আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।

বিএনপি বলছে, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ ও এককালীন অনুদান থেকে বাৎসরিক এই আয় এসেছে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচী বাস্তবায়ন, লিফলেট-পোস্টার ছাপানোর মতো কাজগুলোয় ব্যয় করেছে দলটি।

আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার পর রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আগে নির্বচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হারিয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল নির্বাচন কমিশন। দিনের ভোট রাতে করেছিল। প্রতিবাদ করায় অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছিল বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল।

মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা- তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে ইসি। নির্বাচন কমিশন একটি আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে এটাই প্রত্যাশা করে বিএনপি।