বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিপীড়ন, গ্রেফতার তাণ্ডব সব সীমা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তাদের জানা উচিত এই নিশুতি সরকারই শেষ সরকার নয়। কিছু দিন পরেই হবে জনগণের সরকার। তখন এই আজ্ঞাবাহী, দলদাস, পোশাকী সন্ত্রাসীদের পরিণতি কী হবে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকার অন্তর্ঘাতমূলক নাশকতার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আওয়ামী দুর্বৃত্ত অক্ষশক্তির পক্ষ নিয়েছে জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় বেতনভোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আওয়ামী দলীয় পোষ্য দলদাস কর্মকর্তারা।
সরকার বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের জন্য বহুমুখী চক্রান্ত করে ব্যর্থ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগামী ১০-১৫ বছর কেন, বিশ্বের মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকাটি যতদিন থাকবে ততদিন বিএনপি থাকবে এই দেশে ইনশাআল্লাহ! আমি শুধু সজীব ওয়াজেদ জয় সাহেবকে বলবো, ইতিহাস পড়েন। স্বৈরাচাররা যখন ক্ষমতার মসনদে বসে থাকে তখন অন্ধের মতো দাম্ভিকতা দেখায়। বাংলাদেশের বিপজ্জনক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবি আদায়ে বাঁধভাঙা আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অনিবার্য গণঅভ্যুত্থানের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরিস্থিতি তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ১৮টি। আসামি করা হয়েছে ২০৮৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত)। মোট আহতের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। মৃত্যু হয়েছে একজনের। এছাড়া, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৪-৫ দিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত মোট গ্রেফতার ১৩ হাজার ৭২০ জনের বেশি নেতাকর্মী। মামলা হয়েছে ৩১৪টির বেশি। মোট আহত ৪২৩৩ জনের বেশি। মৃত্যু ১৫ জন (সাংবাদিক একজন) বলেও জানান রিজভী।