ইসরায়েলের নির্মম অবরোধের কারণে গাজার খাদ্য পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। উপত্যকার প্রায় এক লাখ শিশু আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মারা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলের তৈরি করা ‘নজিরবিহীন ও আসন্ন মানবিক বিপর্যয ‘ সম্পর্কে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ৪০ হাজার নবজাতকসহ দুই বছর বা তার কম বয়সী এক লাখ শিশু কয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি ‘শিশুর দুধ এবং পুষ্টিকর সম্পূরকগুলোর সম্পূর্ণ অভাব, সীমান্ত চৌকিগুলো অব্যাহতভাবে বন্ধ করে দেওয়া এবং সহজতম মৌলিক সরবরাহের প্রবেশে বাধা দেওয়ার’ ঘটতে যাচ্ছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলেছে, “আমরা ইসরায়েলি দখলদারিত্বের তৈরি করা অনাহার এবং নির্মূল নীতির ফলে যেসব শিশুর মা কয়েকদিন ধরে তাদের দুধের পরিবর্তে পানি খাওয়াচ্ছেন তারার ধীরে ধীরে একটি প্রত্যাশিত ও ইচ্ছাকৃত গণহত্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।”
শনিবার আল-আহলি হাসপাতালের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, গাজায় অপুষ্টিতে মারা যাওয়ার সর্বশেষ শিকার হলো সাত দিনের একটি শিশু। দুধের অভাবে শিশুটি মারা গেছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে তীব্র খাদ্য ঘাটতির মধ্যে জয়নব আবু হালিব নামে আরেকটি শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১২০ জনেরও বেশি মানুষ অপুষ্টিতে মারা গেছে। এদের মধ্যে ৮০ জনেরও বেশি শিশু।