রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একজন সাংবাদিকের ছিনতাইয়ের ঘটনা এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আজ শুক্রবার বিষয়টি নতুন করে জনমনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আহমাদ ওয়াদুদ তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানান, ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করেও দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আনারুল কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং ওসি তাকে বলেন, “আমি ওসি হয়েও কম দামের ফোন ব্যবহার করি। আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!” — এই মন্তব্যে বিস্মিত ও হতাশ হয়েছেন সাংবাদিক মহলসহ সাধারণ নাগরিকরা।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ পুলিশ। দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে মোহাম্মদপুর থানার চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং তিনজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করছে, কোনো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল না হলে প্রশাসনের নিকট থেকে ন্যূনতম সাড়া পাওয়া যায় না।
সম্প্রতি এমন আরেকটি ঘটনা ঘটে মিটফোর্ডে। পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের।
বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজ মনে করছেন, শুধুমাত্র ভাইরালের উপর নির্ভরশীল এই প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থা দেশের বিচারব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত। তারা বলছেন, প্রতিটি অপরাধেরই যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তা ভাইরাল হোক বা না হোক।