ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধরন পাল্টিয়ে নতুন রূপে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয়ের বিরুদ্ধে Logo বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অপারেটর দরকার: সাখাওয়াত Logo রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনায় সম্মানিত মুয়াজ্জিন আব্দুল মালেক Logo অপরাধ ফেসবুকে ভাইরাল হলেই মিলছে বিচার, নাহলে চুপ প্রশাসন Logo কুষ্টিয়ায় ১০২ পিচ ইয়াবা সহ কথিত সাংবাদিক আটক Logo গাইবান্ধায় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ৫০০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে A+ সংবর্ধনা Logo ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স, ঘোষণা ম্যাক্রোঁর Logo জুলাই স্মরণে জবিতে জাতীয় বিতর্ক উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন Logo শেরপুর সীমান্তে ২১ রোহিঙ্গাকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ Logo জুলাই স্পিরিট’-কে ধারণ করে শিক্ষকদের নতুন সংগঠন ইউটিএল-এর আত্মপ্রকাশ কাল

ববি তে বিজয় ভোজের বাজেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ

মাস ব্যাপি কর্মসূচির আওতায় “ঐক্য ও বিজয়ের ফিস্ট” নামে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৫ আগস্ট ২০২৫, জুলাই বিপ্লবের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে। তবে এই আয়োজনের বাজেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ভোজের জন্য জনপ্রতি মাত্র ১৫০ টাকা বাজেট নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১০০ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকি ৫০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫০ টাকা তাদের কাছে যেমন বেশি, তেমনি মাথাপিছু ১৫০ টাকা বাজেটও অপ্রতুল। তাদের দাবি, বর্তমান বাজারে ১৫০ টাকায় মানসম্মত খাবার পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবসগুলোতে কমপক্ষে ২২০ টাকা বাজেট রাখা হয়। সেই তুলনায় ৫ আগস্টের মতো একটি বিশেষ দিনে জনপ্রতি ১৫০ টাকা বাজেট তাদের কাছে সম্মানজনক নয়।

এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, যে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বিজয় ভোজের কমিটিতে আছেন, তারা এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রতিদিন খাওয়ায় না। বছরের এই বিশেষ দিনেও যদি সম্মানজনকভাবে আপ্যায়নের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে এই আয়োজন অর্থহীন। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক ধরনের অবহেলা।” তিনি আরও বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর দৈনিক বাজেটই ৫০-৬০ টাকার নিচে। তাদের কাছে ৫০ টাকা দিয়ে এই ভোজে অংশ নেওয়া কঠিন। এমন অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় আছে, যাদের দৈনিক বাজেট ৬০ টাকারও কম।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী গালিব বলেন, “আমরা মনে করি, ‘বিজয় ভোজ’ একটি গৌরবময় আয়োজন, যা আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও সংগ্রামের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এই আয়োজনের ব্যয়ভার অনেকটাই শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি-এই আয়োজনের জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর ধার্য খরচ কমানো হোক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব বাজেট থেকে যথাযথ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হোক। একই সঙ্গে বাজেট খরচের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।”

এ আয়োজন কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সালের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যে উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করেছি। যেহেতু আমাদের বাজেট কম ইউজিসি থেকে তেমন বাজেট নেই সেহেতু বিষয়টা আমদের জন্যও চিন্তার তবে উপাচার্য স্যারের সাথে যেহেতু আলোচনা হয়েছে সেহেতু ভালো কিছু আশা করা যায়।”

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ধরন পাল্টিয়ে নতুন রূপে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয়ের বিরুদ্ধে

ববি তে বিজয় ভোজের বাজেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ

আপডেট সময় ১১:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

মাস ব্যাপি কর্মসূচির আওতায় “ঐক্য ও বিজয়ের ফিস্ট” নামে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৫ আগস্ট ২০২৫, জুলাই বিপ্লবের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে। তবে এই আয়োজনের বাজেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ভোজের জন্য জনপ্রতি মাত্র ১৫০ টাকা বাজেট নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১০০ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকি ৫০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫০ টাকা তাদের কাছে যেমন বেশি, তেমনি মাথাপিছু ১৫০ টাকা বাজেটও অপ্রতুল। তাদের দাবি, বর্তমান বাজারে ১৫০ টাকায় মানসম্মত খাবার পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবসগুলোতে কমপক্ষে ২২০ টাকা বাজেট রাখা হয়। সেই তুলনায় ৫ আগস্টের মতো একটি বিশেষ দিনে জনপ্রতি ১৫০ টাকা বাজেট তাদের কাছে সম্মানজনক নয়।

এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, যে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বিজয় ভোজের কমিটিতে আছেন, তারা এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রতিদিন খাওয়ায় না। বছরের এই বিশেষ দিনেও যদি সম্মানজনকভাবে আপ্যায়নের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে এই আয়োজন অর্থহীন। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক ধরনের অবহেলা।” তিনি আরও বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর দৈনিক বাজেটই ৫০-৬০ টাকার নিচে। তাদের কাছে ৫০ টাকা দিয়ে এই ভোজে অংশ নেওয়া কঠিন। এমন অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় আছে, যাদের দৈনিক বাজেট ৬০ টাকারও কম।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী গালিব বলেন, “আমরা মনে করি, ‘বিজয় ভোজ’ একটি গৌরবময় আয়োজন, যা আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও সংগ্রামের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এই আয়োজনের ব্যয়ভার অনেকটাই শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি-এই আয়োজনের জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর ধার্য খরচ কমানো হোক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব বাজেট থেকে যথাযথ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হোক। একই সঙ্গে বাজেট খরচের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।”

এ আয়োজন কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সালের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যে উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করেছি। যেহেতু আমাদের বাজেট কম ইউজিসি থেকে তেমন বাজেট নেই সেহেতু বিষয়টা আমদের জন্যও চিন্তার তবে উপাচার্য স্যারের সাথে যেহেতু আলোচনা হয়েছে সেহেতু ভালো কিছু আশা করা যায়।”