ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধরন পাল্টিয়ে নতুন রূপে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয়ের বিরুদ্ধে Logo বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অপারেটর দরকার: সাখাওয়াত Logo রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনায় সম্মানিত মুয়াজ্জিন আব্দুল মালেক Logo অপরাধ ফেসবুকে ভাইরাল হলেই মিলছে বিচার, নাহলে চুপ প্রশাসন Logo কুষ্টিয়ায় ১০২ পিচ ইয়াবা সহ কথিত সাংবাদিক আটক Logo গাইবান্ধায় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ৫০০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে A+ সংবর্ধনা Logo ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স, ঘোষণা ম্যাক্রোঁর Logo জুলাই স্মরণে জবিতে জাতীয় বিতর্ক উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন Logo শেরপুর সীমান্তে ২১ রোহিঙ্গাকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ Logo জুলাই স্পিরিট’-কে ধারণ করে শিক্ষকদের নতুন সংগঠন ইউটিএল-এর আত্মপ্রকাশ কাল

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে নেমে ৭৪ রানে হারল টাইগাররা

হোয়াইটওয়াশ করতে নেমে ৭৪ রানে হারল বাংলাদেশ

সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশ মিশন পূর্ণ করার। কিন্তু প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি দাপটে খেলা বাংলাদেশকে শেষ ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেলো না, হারলো ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে।

শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে কোনোমতে হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়িয়েছে পাকিস্তান। লিটন দাসের দল সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট ১৭৮ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জবাবে ১৬.৪ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।

তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৭৯ রান। রান তাড়ায় শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পঞ্চম ওভারেই ২৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা।

প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সালমান মির্জাকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়েছিলেন তানজিদ তামিম। বল হালকা করে ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে জেতে পাকিস্তান। শূন্য রানেই ফেরেন তামিম।

এরপর লিটন দাস বরাবরের মতো ক্লাসিক্যাল শট খেলে শুরু করার পর হতাশ করেছেন। ৮ বলে ৮ করে ফাহিম আশরাফের বলে পরিষ্কার বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১০ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী আর শেখ মেহেদী তাদের দেখানো পথেই হেঁটেছেন। মিরাজ (৮ বলে ৯) ফাহিম আশরাফের বলে মিডঅনে দেন ক্যাচ। জাকের আলী (২ বলে ১) আর শেখ মেহেদী (২ বলে ০) দুজনই সালমান মির্জার এক ওভারে বোল্ড।

শামীম পাটোয়ীরও বোল্ড হওয়া থেকে বাঁচতে পারেননি। পার্টটাইমার আগা সালমানের স্পিনে কাট করতে গিয়ে স্টাম্প হারান। ৫ বলে করেন ৫ রান।

টুকটুক করে নাইম শেখ শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে করেছেন ১০ রান। নেই কোনো বাউন্ডারি। বড় শট খেলতে গিয়ে মিডঅন আকাশে তুলে দেন সহজ ক্যাচ। পঞ্চাশের আগে (৪৫ রানে) ৭ উইকেট হারিয়ে বড় হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।

শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে একশ পার করে দিয়েছেন।

পাকিস্তানের সালমান মির্জা ৩টি, ফাহিম আশরাফ আর মোহাম্মদ নওয়াজ নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে ওপেনার শাহিবজাদা ফারহানের ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছিল পাকিস্তান।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু এবার আর আগের দুই ম্যাচের মতো ভালো শুরু করতে পারেননি বোলাররা।

পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান আর সাইম আইয়ুব দারুণ সূচনা করেন। বিশেষ করে ঝড় তুলেন ফখর জামানের বদলে ওপেনে নামা ফারহান। ২৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৮ রান তোলে পাকিস্তান।

অবশেষে ৪৬ বলে ৮২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ হন সাইম। ১৫ বলে তিনি করেন ২১।

মারকুটে শাহিবজাদা ফারহানকেও ফেরান নাসুম। স্লগ সুইপে মিডউইকেটে শেখ মেহেদীর হাতে ধরা পড়েন ফারহান। ৪১ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি আর ৫টি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি ওপেনার।

ধীর গতিতে খেলছিলেন মোহাম্মদ হারিস। ১৪ বল খেলে শেষ পর্যন্ত ৫ রান করে তিনি হন তাসকিন আহমেদের শিকার। ডাউন দ্য উইকেটে আসলে বল ব্যাটে লেগে চলে যায় থার্ড ম্যানে।

পরের ওভারে হাসান নেওয়াজকে শেখ মেহেদীর দারুণ এক ক্যাচে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ১৭ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় নেওয়াজ করেন ৩৩ রান।

হুসাইন তালাত (৪ বলে ১) ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত এক সুইংয়ে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন তিনি। ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে পাকিস্তান।

তবে শেষদিকে মোহাম্মদ নওয়াজের ১৫ বলে ২৭ আর অধিনায়ক সালমান আগার ৯ বলে ১২ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় পাকিস্তান।

বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ৩৮ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। নাসুম আহমেদ ২২ রানে ২টি আর শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধরন পাল্টিয়ে নতুন রূপে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয়ের বিরুদ্ধে

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে নেমে ৭৪ রানে হারল টাইগাররা

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশ মিশন পূর্ণ করার। কিন্তু প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি দাপটে খেলা বাংলাদেশকে শেষ ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেলো না, হারলো ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে।

শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে কোনোমতে হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়িয়েছে পাকিস্তান। লিটন দাসের দল সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট ১৭৮ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জবাবে ১৬.৪ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।

তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৭৯ রান। রান তাড়ায় শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পঞ্চম ওভারেই ২৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা।

প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সালমান মির্জাকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়েছিলেন তানজিদ তামিম। বল হালকা করে ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে জেতে পাকিস্তান। শূন্য রানেই ফেরেন তামিম।

এরপর লিটন দাস বরাবরের মতো ক্লাসিক্যাল শট খেলে শুরু করার পর হতাশ করেছেন। ৮ বলে ৮ করে ফাহিম আশরাফের বলে পরিষ্কার বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১০ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী আর শেখ মেহেদী তাদের দেখানো পথেই হেঁটেছেন। মিরাজ (৮ বলে ৯) ফাহিম আশরাফের বলে মিডঅনে দেন ক্যাচ। জাকের আলী (২ বলে ১) আর শেখ মেহেদী (২ বলে ০) দুজনই সালমান মির্জার এক ওভারে বোল্ড।

শামীম পাটোয়ীরও বোল্ড হওয়া থেকে বাঁচতে পারেননি। পার্টটাইমার আগা সালমানের স্পিনে কাট করতে গিয়ে স্টাম্প হারান। ৫ বলে করেন ৫ রান।

টুকটুক করে নাইম শেখ শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে করেছেন ১০ রান। নেই কোনো বাউন্ডারি। বড় শট খেলতে গিয়ে মিডঅন আকাশে তুলে দেন সহজ ক্যাচ। পঞ্চাশের আগে (৪৫ রানে) ৭ উইকেট হারিয়ে বড় হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।

শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে একশ পার করে দিয়েছেন।

পাকিস্তানের সালমান মির্জা ৩টি, ফাহিম আশরাফ আর মোহাম্মদ নওয়াজ নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে ওপেনার শাহিবজাদা ফারহানের ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছিল পাকিস্তান।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু এবার আর আগের দুই ম্যাচের মতো ভালো শুরু করতে পারেননি বোলাররা।

পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান আর সাইম আইয়ুব দারুণ সূচনা করেন। বিশেষ করে ঝড় তুলেন ফখর জামানের বদলে ওপেনে নামা ফারহান। ২৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৮ রান তোলে পাকিস্তান।

অবশেষে ৪৬ বলে ৮২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ হন সাইম। ১৫ বলে তিনি করেন ২১।

মারকুটে শাহিবজাদা ফারহানকেও ফেরান নাসুম। স্লগ সুইপে মিডউইকেটে শেখ মেহেদীর হাতে ধরা পড়েন ফারহান। ৪১ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি আর ৫টি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি ওপেনার।

ধীর গতিতে খেলছিলেন মোহাম্মদ হারিস। ১৪ বল খেলে শেষ পর্যন্ত ৫ রান করে তিনি হন তাসকিন আহমেদের শিকার। ডাউন দ্য উইকেটে আসলে বল ব্যাটে লেগে চলে যায় থার্ড ম্যানে।

পরের ওভারে হাসান নেওয়াজকে শেখ মেহেদীর দারুণ এক ক্যাচে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ১৭ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় নেওয়াজ করেন ৩৩ রান।

হুসাইন তালাত (৪ বলে ১) ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত এক সুইংয়ে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন তিনি। ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে পাকিস্তান।

তবে শেষদিকে মোহাম্মদ নওয়াজের ১৫ বলে ২৭ আর অধিনায়ক সালমান আগার ৯ বলে ১২ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় পাকিস্তান।

বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ৩৮ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। নাসুম আহমেদ ২২ রানে ২টি আর শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।