বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিযা গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ইসলামই একমাত্র সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করেছে। জনগণ যদি জামায়াতে ইসলামীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয় তাহলে জনগণ একটি ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্রের সকল সামাজিক, মৌলিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অধিকার ভোগ করবে। অতীতে এদেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন দল মতের লোক বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। তখনই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তার প্রমাণ রয়েছে ডুমুরিয়াবাসীর কাছে। ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার কথা স্মরণ করে সাবেক এই এমপি বলেন, হিন্দু, মুসলিম জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট দানের মাধ্যমে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন। তখন আপনাদের দেওয়া আমানত আমি যথাযথভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। এই ডুমুরিয়া-ফুলতলার জনপদের স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, শ্মশান ও রাস্তাঘাটসহ ৫০০ কোটি টাকার উপরে উন্নয়ন কাজ আমি করেছিলাম। ডুমুরিয়া-ফুলতলার সন্ত্রাসী জনপদের মূলোৎপাটন করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করেছিলাম। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আবারো এই জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাটের তেমন উন্নয়ন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিল ডাকাতিয়ার সমস্যা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি মরণ ফাঁদ হয়ে দেখা দিয়েছে। অতীতে আমার সময়ে খাল খনন, নদী ড্রেজিং করে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমি প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে বিল ডাকাতিয়ার পানি নিষ্কাশনের জন্য দশটি পাম্প ও সম্প্রতি দুইটি হেভিওয়েট পাম্প আনার ব্যবস্থা করেছি। আল্লাহর রহমতে আপনারা যদি আমাকে পুনরায় এ অঞ্চলের সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে আমি বিল ডাকাতিয়ার পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধানসহ এই অবহেলিত জনপদের বাকি কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে চেচুড়ী দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসায় পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
ধামালিয়া ইউনিয়ন আমীর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমীর গাজী সাইফুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু বিভাগের সহ-সভাপতি ডা. হরিদাস মন্ডল, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আমানুল্লাহ হালদার, মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের উত্তর ডুমুরিয়া সেক্রেটারি সাকিব গাজী, ইউনয়ন সেক্রেটারি মাওলানা মুজিবুর রহমান মোড়ল, মাওলানা আনোয়ারুল আজম ইয়ামিন, মাওলানা লিয়াকত আলী, গাজী কামরুজ্জামান প্রমুখ।
সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি। মূলত, ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা নির্বিঘেœ হয়নি বরং আমাদেরকে চড়ামূল্যে কিনতে হয়েছে। এ আন্দোলনে দুই হাজারের অধিক মানুষ রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। হাজার হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেককেই হাত-পা চোখ হারিয়েছেন। আমরা শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কোন কোন এতিমের আমরা ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছি। মূলত, জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা ফ্যাসীবাদ মুক্ত হয়েছি। তাই দেশ ও জাতির জন্য তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেই তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে। তিনি জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
বিকেল সাড়ে ৪টায় বরুনার কাঁঠালতলা স্কুলে এক মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ধামারিয়া ইউনিয়ন আমীর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাস্টার তাজুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমীর গাজী সাইফুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম।
এ সময় সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, এবার আর যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না। ১৪, ১৮ ও ২৪ মার্কা নির্বাচনের আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা এ ধরনের অপকর্মের চিন্তা করছেন তাদের জন্য আমাদের স্পষ্ট বার্তা মানুষ রক্ত দিয়ে পরিবর্তন এনেছে। আবার প্রয়োজনে রক্তের বিনিময়ে পরিবর্তনকে সফল করব। এক্ষেত্রে এ জাতি কাউকে ছাড় দেয়নি, আমরাও দেবো না। ছাত্র-জনতা অতীতে যেমন বুক চিতিয়ে লড়াই করে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য এগিয়ে গিয়েছিল, আগামীতেও সেই অধিকার আদায়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। এই ফ্যাসিবাদ পুরাতন হোক আর নতুন, আমাদের লড়াই চলবে। যতদিন ফ্যাসিবাদের অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন আমাদের লড়াই চলবে।
স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কিশোর, তরুণ ও যুবকদের জন্য এমন এক দেশ রেখে যেতে চাই-যেন শান্তিতে তারা নিশ্বাস নিতে পারে। চাঁদাবাজমুক্ত, দখলবাজমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসনের বিকল্প নেই। আমরা সকলকে আল্লাহর আইনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
বিকেল ৫টায় বরুনা বাজারের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ধামালিয়া ইউনিয়ন আমীর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মারিউর রহমান পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমীর গাজী সাইফুল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার আব্দুর রশীদ বিশ্বাস, মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি বি এম আলমগীর হোসেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা সাইদুল্লাহ হোসাইন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডুমুরিয়া উপজেলা সভাপতি ওমর আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা হিন্দু বিভাগের সহ সভাপতি ডা. হরিদাস মন্ডল, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আমানুল্লাহ হালদার, মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন, মাওলানা হাফিজুর রহমান, ছাত্রশিবিরের উত্তর ডুমুরিয়া সেক্রেটারি সাকিব গাজী, ইউনয়ন সেক্রেটারি মাওলানা মুজিবুর রহমান মোড়ল, মাওলানা মোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা, গাজী কামরুজ্জামান, মাওলানা মাহমুদুল আলম প্রমূখ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। রাসূল (সা.) এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করেছিলেন যে সমাজে সানা থেকে হাজরামাউত পর্যন্ত নারীরা নির্বিঘেœ-নিরাপদে ও সম্ভ্রম নিয়ে চলাফেরা করতে পারতেন। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোনভাবেই সম্ভব নয়। তিনি দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহবান জানান।
সন্ধ্যায় টোলনা স্কুল মাঠে ধামালিয়া ইউনিয়ন আমীর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ডুমুরিয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ আলমের পরিচালনায় এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এ সময় তিনি বলেন, দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালানো ঐচ্ছিক কোন বিষয় নয়; বরং প্রত্যেক মোমিনের ওপরই অত্যাবশ্যকীয় বা ফরয করে দেওয়া হয়েছে। মূলত, আমাদের জন্য ইসলামকেই জীবনবিধান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। আর কালামে হাকীমকে আমাদের জীবন চলার পাথেয় হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। বস্তুত, মোত্তাকীদের পথ প্রদর্শনের জন্যই পবিত্র কুরআন জীবন বিধান হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর যারা প্রকৃতপক্ষে মুত্তাকী তারাই শুধু কুরআন থেকে লাভবান বা উপকৃত হতে পারে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য আমাদের সকলকে আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সা.) এর আদর্শের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।
এর আগে সকালে ডুমুরিয়া সদরে অবস্থিত জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে হিন্দু কমিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি বাবু কৃষ্ণ নন্দী। কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, রংপুর ইউনিয়ন সভাপতি তরুন মন্ডল, মাগুরখালী ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার, ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন সভাপতি অরুণ আচার্য্য, গুটুদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মনোরঞ্জন মন্ডল, শরাফপুর ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন সহ-সভাপতি নিত্যানন্দ মন্ডল, আটলিয়া ইউনিয়ন সহ-সভাপতি গৌতম দাস, মাগুরখালী ইউনিয়ন সাদারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মহাদেব মন্ডল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা হিন্দু বিভাগের সহ-সভাপতি ডা. হরিদাস মন্ডল, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আমানুল্লাহ হালদার, মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের উত্তর ডুমুরিয়া সেক্রেটারি সাকিব গাজী, ইউনয়ন সেক্রেটারি মাওলানা মুজিবুর রহমান মোড়ল, মাওলানা আনোয়ারুল আজম ইয়ামিন, মাওলানা লিয়াকত আলী, গাজী কামরুজ্জামান প্রমুখ।
সভায় সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণ যদি জামায়াতে ইসলামীকে দেশ পরিচালনায় দায়িত্ব দেয় তখন এ দেশের সকল নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে। সকল ধর্মের মানুষ আওয়াজ তুলে বলবে আমরা এখানে সংখ্যাগুরুও নই, কেউ সংখ্যালঘুও নই, আমরা সকলেই সমান। আমি চাই এখানে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু কথার কবর রচনা হোক। তিনি বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। আমাদের দ্বিতীয় পরিচয়-এদেশে যাদের জন্ম হয়েছে আমরা সবাই বাংলাদেশী। একজন বাংলাদেশী নাগরিককে আমার দেশের সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে সকল ধর্মের নাগরিক সমানভাবে তা ভোগ করবে। আমরা তার কমবেশি দেখতে চাই না। আমি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অনুরোধ করবো, আসুন আমরা পরস্পরকে ভাই এবং বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি। তাহলে হিংসা এবং হানাহানি থাকবে না। কোনো ধর্ম কাউকে দুর্বৃত্ত হতে শেখায় না। হিংসা-প্রতিহিংসা শেখায় না। আমি তা বিশ্বাস করি। এ রকম যদি কিছু হয় তাহলে সেটা ধর্মই না। ধর্ম মানুষকে পরিশীলিত করে। ধর্ম মানুষকে মানুষ বানায়। পাশবিক চরিত্র যাদের আছে তাদেরকেও মনুষত্বের দিকে নিয়ে আসে।