কুমারখালীতে চাঁদা না দেওয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ মাত্র ২০ মিনিটেই ভেঙে চুরে ১৫ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে চাঁদাবাজরা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হংকং প্রবাসী মো. শরিফুল ইসলামের (৪২) বাড়িতে ভাংচুর ও নগদ টাকা – স্বর্ণালংকার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) রাত উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের আতিয়ার রহমান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শরিফুল ওই এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কুমারখালী থানা পুলিশ।
শরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রায় ১১ বছর হংকংয়ে ছিলেন। বছরখানেক হল তিনি দেশে ফিরেছেন। আতিয়ার রহমান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের নিজস্ব তিনতলা ভবনে পরিবার নিয়ে বাস করেন। দেশে ফেরার পর থেকে কয়েকজন মাস্তান তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না পেয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার পাকা বাড়ির তিনতলায় ঢুকে পড়েন। ঢুকে তারা প্রথমে তাকে ( শরিফুল) কে মারধর করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
তাঁর ভাষ্য, চাঁদার টাকা না পেয়ে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই ভাংচুর করে সবকিছু নিয়ে চলে যায় চাঁদাবাজরা। অনেকেরই মুখ কাপড় দিয়ে বাধা থাকলেও তিনি কয়েকজন চাঁদাবাজকে চিনতে পেরেছেন। তবে মামলার পরে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করবেন।
খবর পেয়ে ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন খাঁন। তিনি ফোনে বলেন, ঘরের ভিতরে ব্যাপক ভাংচুরের চিহ্ন রয়েছে। প্রবাসী শরিফুল ভাংচুর ও নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুটপাটের অভিযোগ মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, চাঁদা না পেয়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে রাত ৯টার দিকে ভাংচুর ও
লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।