সারাদেশে চলমান চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নৈরাজ্য ও চট্টগ্রামের চকবাজারে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা।
২৩ জুলাই বুধবার বিকাল দেড়টায় চট্টগ্রাম চকবাজারের কাপাসগুলা মসজিদ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নগরীর চন্দনপুরা এলাকা হয়ে অলি খাঁ মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সেক্রেটারি মুমিনুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানজির হোসেন জুয়েল বলেন, “ বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদীরা যে স্লোগান দিয়েছিলো আজকে ছাত্রদল একই স্লোগান দিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিচয় দিয়েছে। সারাদেশে চাঁদাবাজি করে ব্যবসায়ী ভাইদেরকে বিরক্ত করে তুলেছে এবং ২১ তারিখে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় আমাদের ভাইদের উপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
তিনি আরো হুশিয়ার করে বলেন, এভাবে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালতে থাকলে আওয়ামীলীগের চেয়ে কঠিন পরিণতি তোমাদেরকে ভোগ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব শুধুমাত্র ৩৬ দিনের জুলুম নির্যাতনের কারণে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় নি বরং বিগত সতেরো বছরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্র জনতা একটি সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলো কিন্তু দুঃখের বিষয় ছাত্রদল নামক সংঘটন চাঁদাবাজিকে তাদের ক্রিয়েটিভ কাজে পরিণত করেছে। দুইদিন আগে চকবাজারে শিক্ষার্থীদের উপর গুলিয়ে চালিয়ে আমাদের ভাইদেরকে রক্তাক্ত করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই তারা এ গুলি কোথায় পেয়েছে? শীঘ্রই সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
তিনি আরও হুশিয়ার করে বলেন, বীর চট্টলায় ইসলামী আন্দোলনের শিকড় অনেক গভীরে, সিংহের লেজ নিয়ে কান চুলকাতে আসবেন না পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না। ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করলে কঠিন পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদ, অফিস সম্পাদক আরফাত হোসেন, অর্থ সম্পাদক গোলাম আজম, মিডিয়া সম্পাদক সিরাজী মানিক প্রমূখ।
সমাবেশে নেতাকর্মীদের মুখে “নারায়ে তাকবীর – আল্লাহু আকবর”, “চাঁদাবাজের ঠিকানা – বীর চট্টলায় হবে না”, “আমার সোনার বাংলায় চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে লড়াই হবে একসাথে, ইত্যাদি স্লোগান ধ্বনিত হয়।