ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব: মির্জা ফখরুল Logo মাইলস্টোনে আহত-নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo মাইলস্টোনের মূল ফটকে তালা, বাইরে উৎসুক জনতার ভিড় Logo নামজারি খারিজ করতে পাঁচ স্তরে দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা Logo অনেক শাসন দেখেছি এগুলো শাসন ছিল না শোষণ ছিল-ডা. শফিকুর রহমান Logo নবীনগরে র‍্যাবের অভিযান: আলিয়াবাদ গোল চত্বর থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার Logo গণতন্ত্রপন্থী সহযোদ্ধাদের শান্ত-সংহত থাকতে বললেন তারেক রহমান Logo সড়কের পাশে পড়ে ছিল অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ Logo খুব সহজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো নিউজিল্যান্ড Logo বিএনপিকে বিব্রত করার‘অযৌক্তিক’সংস্কার প্রস্তাব দিচ্ছে সরকার

খুব সহজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো নিউজিল্যান্ড

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নিউজিল্যান্ডের জয় ৭ উইকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৩৪ রান ২৫ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে গেছে তারা।

হারারেতে নিউজিল্যান্ডের এই জয়ের নায়ক সাইফার্ট। ২ ছক্কা ও ৬টি চারে ৪৮ বলে ৬৬ রান করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। আগামী শনিবার সিরিজের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও মুখোমুখি হবে এই দুই দল। সিরিজে প্রথম দেখায়ও মিচেল স্যান্টনারের দলের বিপক্ষে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

নিউজিল্যান্ডের জয়ের ভিতটা অবশ্য গড়ে দেন বোলাররা। দুইটি করে উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি, অ্যাডাম মিল্ন ও স্যান্টনার। একটি প্রাপ্তি উইল ও’রোকের। উইকেটশূন্য থাকলেও দারুণ বোলিংয়ে তিন ওভারে মাত্র ১২ রান দেন জ্যাক ফউকস।

টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরু থেকে চেপে ধরে নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতে প্রোটিয়ারা করতে পারে ১ উইকেটে ৩৪। সেটাও হয় ষষ্ঠ ওভারে ১৬ রান আসায়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা রুবিন হারমানকে টিকতে দেননি মার্ক চ্যাপম্যান। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের পর তিনি সরাসরি থ্রোয়ে তিনে নামা ব্যাটসম্যানকে রান আউট করেন।

ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, আন্দিলে সিমেলানে পারেননি দলের হাল ধরতে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রানের জুটি গড়েন রিজা হেনড্রিকস ও জর্জ লিন্ডা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রাখা হেনড্রিকসকে ফিরিয়ে তাদের যুগলবন্দি ভাঙেন ডাফি। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৩৭ বলে ৪১ রান করেন ওপেনার হেনড্রিকস। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে যান লিন্ডা। তার একটি করে ছক্কা-চারে ১৫ বলে ২৩ রানের ইনিংসে ১৩৪ পর্যন্ত যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বোলিংয়ের শুরুটাও ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। লিন্ডার করা প্রথম ওভারেই সাইফার্টের ক্যাচ ফেলেন সিমেলানে। শূন্য রানে বেঁচে যাওয়া সাইফার্টই পরে ভোগান দলটিকে। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে সাইফার্টের ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় নিউজিল্যান্ড। ৩ চারে ১৯ রান করে কট বিহাইন্ড হন কনওয়ে।

পরের ওভারেই আরেকটি ধাক্কা খায় কিউইরা, লং অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রাচিন রাভিন্দ্রা। একাদশ ওভারে মার্ক চ্যাপম্যানের ড্রেসিং রুমে ফেরার পর অবশ্য দলকে আর উইকেট হারাতে দেননি সাইফার্ট ও ড্যারিল মিচেল।

সেনুরান মুথুসামিকে ছক্কায় উড়িয়ে ৩৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন সাইফার্ট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার একাদশ ফিফটি। জয়সূচক রানটিও আসে তার ব্যাট থেকে। কিউনা মাফাকাকে চার মেরে দলকে কাঙ্ঘিত ঠিকানায় পৌঁছে দেন তিনি। সাইফার্টকে সঙ্গ দেওয়া মিচেল ২ চারে ১৫ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাদের দুইজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৫১ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৩৪/৮ (ফন ডার ডাসেন ১৪, হেনড্রিকস ৪১, হারমান ১০, ব্রেভিস ১৩, প্রিটোরিয়াস ১, সিমেলানে ১১, লিন্ডা ২৩, কুটসিয়া ০, মুথুসামি ৮, পিটার ৭; ডাফি ৪-০-৩৩-২, ফউকস ৩-০-১২-০, মিল্ন ৪-০-২১-২, স্যান্টনার ৪-১-২৬-২, ও’রোক ৪-০-২৬-১, রাভিন্দ্রা ১-০-১৪-০)

নিউ জিল্যান্ড: ১৫.৫ ওভারে ১৩৫/৩ (কনওয়ে ১৯, সাইফার্ট ৬৬, রাভিন্দ্রা ৩, চ্যাপম্যান ১০, মিচেল২০; লিন্ডা ৩-০-৩০-০, কুটসিয়া ৩-০-৩৭-০, মাফাকা ২.৫-০-১৯-০, সিমেলানে ১-০-৫-১, মুথুসামি ৪-০-২৪-২, পিটার ২-০-২০-০)

ফল: নিউ জিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব: মির্জা ফখরুল

খুব সহজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো নিউজিল্যান্ড

আপডেট সময় ১০:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নিউজিল্যান্ডের জয় ৭ উইকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৩৪ রান ২৫ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে গেছে তারা।

হারারেতে নিউজিল্যান্ডের এই জয়ের নায়ক সাইফার্ট। ২ ছক্কা ও ৬টি চারে ৪৮ বলে ৬৬ রান করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। আগামী শনিবার সিরিজের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও মুখোমুখি হবে এই দুই দল। সিরিজে প্রথম দেখায়ও মিচেল স্যান্টনারের দলের বিপক্ষে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

নিউজিল্যান্ডের জয়ের ভিতটা অবশ্য গড়ে দেন বোলাররা। দুইটি করে উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি, অ্যাডাম মিল্ন ও স্যান্টনার। একটি প্রাপ্তি উইল ও’রোকের। উইকেটশূন্য থাকলেও দারুণ বোলিংয়ে তিন ওভারে মাত্র ১২ রান দেন জ্যাক ফউকস।

টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরু থেকে চেপে ধরে নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতে প্রোটিয়ারা করতে পারে ১ উইকেটে ৩৪। সেটাও হয় ষষ্ঠ ওভারে ১৬ রান আসায়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা রুবিন হারমানকে টিকতে দেননি মার্ক চ্যাপম্যান। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের পর তিনি সরাসরি থ্রোয়ে তিনে নামা ব্যাটসম্যানকে রান আউট করেন।

ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, আন্দিলে সিমেলানে পারেননি দলের হাল ধরতে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রানের জুটি গড়েন রিজা হেনড্রিকস ও জর্জ লিন্ডা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রাখা হেনড্রিকসকে ফিরিয়ে তাদের যুগলবন্দি ভাঙেন ডাফি। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৩৭ বলে ৪১ রান করেন ওপেনার হেনড্রিকস। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে যান লিন্ডা। তার একটি করে ছক্কা-চারে ১৫ বলে ২৩ রানের ইনিংসে ১৩৪ পর্যন্ত যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বোলিংয়ের শুরুটাও ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। লিন্ডার করা প্রথম ওভারেই সাইফার্টের ক্যাচ ফেলেন সিমেলানে। শূন্য রানে বেঁচে যাওয়া সাইফার্টই পরে ভোগান দলটিকে। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে সাইফার্টের ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় নিউজিল্যান্ড। ৩ চারে ১৯ রান করে কট বিহাইন্ড হন কনওয়ে।

পরের ওভারেই আরেকটি ধাক্কা খায় কিউইরা, লং অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রাচিন রাভিন্দ্রা। একাদশ ওভারে মার্ক চ্যাপম্যানের ড্রেসিং রুমে ফেরার পর অবশ্য দলকে আর উইকেট হারাতে দেননি সাইফার্ট ও ড্যারিল মিচেল।

সেনুরান মুথুসামিকে ছক্কায় উড়িয়ে ৩৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন সাইফার্ট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার একাদশ ফিফটি। জয়সূচক রানটিও আসে তার ব্যাট থেকে। কিউনা মাফাকাকে চার মেরে দলকে কাঙ্ঘিত ঠিকানায় পৌঁছে দেন তিনি। সাইফার্টকে সঙ্গ দেওয়া মিচেল ২ চারে ১৫ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাদের দুইজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৫১ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৩৪/৮ (ফন ডার ডাসেন ১৪, হেনড্রিকস ৪১, হারমান ১০, ব্রেভিস ১৩, প্রিটোরিয়াস ১, সিমেলানে ১১, লিন্ডা ২৩, কুটসিয়া ০, মুথুসামি ৮, পিটার ৭; ডাফি ৪-০-৩৩-২, ফউকস ৩-০-১২-০, মিল্ন ৪-০-২১-২, স্যান্টনার ৪-১-২৬-২, ও’রোক ৪-০-২৬-১, রাভিন্দ্রা ১-০-১৪-০)

নিউ জিল্যান্ড: ১৫.৫ ওভারে ১৩৫/৩ (কনওয়ে ১৯, সাইফার্ট ৬৬, রাভিন্দ্রা ৩, চ্যাপম্যান ১০, মিচেল২০; লিন্ডা ৩-০-৩০-০, কুটসিয়া ৩-০-৩৭-০, মাফাকা ২.৫-০-১৯-০, সিমেলানে ১-০-৫-১, মুথুসামি ৪-০-২৪-২, পিটার ২-০-২০-০)

ফল: নিউ জিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী