গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়, উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য জরুরি রক্তের প্রয়োজন। ডোনারদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এ জরুরিভিত্তিতে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
হেল্পলাইন
মিকদাদ- ০১৮৯৪৩২৮৭৭৫, আরাবী- ০১৫৪০০৫৬৬৯৭।
প্রসঙ্গত, মাইলস্টোন স্কুলের পাশে দুপুর ১টার পরে বিকট শব্দে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। দিগ্বিদিক ছুটাছুটি শুরু করে আশেপাশের সবাই। ছুটে আসেন স্থানীয় অনেক মানুষ। অন্যদিকে পাশে থাকা মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এতে যোগ দেন পাশে থাকা সাধারণ জনগনও।
এর আগে এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, আমরা দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে সংবাদ পেয়েছি যে উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের কাছে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ করছে আরও দুটি ইউনিট রাস্তায় আছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য আমাদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। বর্তমানে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজ চলছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। এর ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।