নারী দিবসের মতো আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসও রয়েছে। সে দিবসটি আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর এই দিবসটি পালিত হয়।
নারী দিবসের বিকল্প হিসেবে নয়, বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “Zero Male Suicide”.
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ। হয়তোবা এবারের প্রতিপাদ্য সে নিরিখেই নির্ণিত হয়েছে।
জানা যায়, পুরুষ দিবস পালনে প্রথমে ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করা ফেলেছিলো রাশিয়া। তাই পরে ১৯ নভেম্বর পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯২২ সালে। এর কয়েক বছর আগেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। সেই যুদ্ধে নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ পালন করা হতো। সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দিবসটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। বালক, কিশোর ও পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা। সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষদের অবদানকে তুলে ধরাও এই দিবসের আরেকটি লক্ষ্য।