ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফোন করে জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান Logo অব্যাহতি পেল সেই কিশোর ফাইয়াজ, সংশোধিত আইনে প্রথম আদেশ Logo জামায়াত আমিরের চিকিৎসার জন্য যে কোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী Logo জামায়াত কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় আসতে পারবে না: গয়েশ্বর চন্দ্র Logo আইনশৃঙ্খলায় দৃশ্যমান অগ্রগতি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo হারানো বিজ্ঞপ্তি:২ দিন ধরে নিখোঁজ সাদ মুহাম্মদ সাব্বির Logo ২৯শে জুলাই ডাকসুর তফসিল ঘোষণা, ভোট হতে পারে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে Logo গুলিবিদ্ধ হয়েও থামেনি সংগ্রাম: জামায়াতের সমাবেশে দৃঢ়চেতা তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্র জুনাইদ Logo আগামী ৩ দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষ নিয়ে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ Logo পল্লবীতে বাসে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা

গুলিবিদ্ধ হয়েও থামেনি সংগ্রাম: জামায়াতের সমাবেশে দৃঢ়চেতা তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্র জুনাইদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নির্মমভাবে স্নাইপারের গুলিতে আহত হওয়া টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গাজী মো. জুনাইদুর রহমান এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই ঘটনার দগদগে স্মৃতি। শরীরের গভীরে বিদ্ধ গুলি, অস্ত্রোপচারের পরও অক্ষম হয়ে পড়া তিনটি আঙুল—সবকিছু উপেক্ষা করে শনিবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ডাকা জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত হন তিনি।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ওই সমাবেশে গাজী জুনাইদ শুধু উপস্থিত ছিলেন না, তিনি বক্তব্যও রাখেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে তিনি যখন মঞ্চে দাঁড়ান, তখন উপস্থিত জনতার দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত হয় তার দিকেই।

গত বছরের ১৮ জুলাই উত্তরা বিএনএস সেন্টারে আন্দোলনের সময় স্নাইপারের গুলিতে গুরুতর আহত হন জুনাইদ। তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর তার পেট থেকে গুলি অপসারণ করা গেলেও ডান হাতে স্থায়ী ক্ষতি হয়। বর্তমানে নিয়মিত থেরাপি নিতে হচ্ছে, যন্ত্রণাও কমেনি। তবু তিনি হার মানেননি।

সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জুনাইদ বলেন, “সংস্কারের নামে দেশে এখনো ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, তারা কোনোভাবেই একটি বৈধ রাজনৈতিক দলের মর্যাদা পেতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের যত গভীরে শিকড়ই গেড়েছে, তার মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। আমরা এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা চাই, যেখানে পক্ষপাতহীনভাবে সব দলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে।”

দুপুরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি যখন সমাবেশস্থলে পৌঁছান, নেতাকর্মীরা স্লোগানে তাকে বরণ করে নেন।

গাজী জুনাইদের উপস্থিতি ও বক্তব্য নতুন করে আলোচনায় এনেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের ভূমিকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফোন করে জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান

গুলিবিদ্ধ হয়েও থামেনি সংগ্রাম: জামায়াতের সমাবেশে দৃঢ়চেতা তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্র জুনাইদ

আপডেট সময় ০২:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নির্মমভাবে স্নাইপারের গুলিতে আহত হওয়া টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গাজী মো. জুনাইদুর রহমান এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই ঘটনার দগদগে স্মৃতি। শরীরের গভীরে বিদ্ধ গুলি, অস্ত্রোপচারের পরও অক্ষম হয়ে পড়া তিনটি আঙুল—সবকিছু উপেক্ষা করে শনিবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ডাকা জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত হন তিনি।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ওই সমাবেশে গাজী জুনাইদ শুধু উপস্থিত ছিলেন না, তিনি বক্তব্যও রাখেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে তিনি যখন মঞ্চে দাঁড়ান, তখন উপস্থিত জনতার দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত হয় তার দিকেই।

গত বছরের ১৮ জুলাই উত্তরা বিএনএস সেন্টারে আন্দোলনের সময় স্নাইপারের গুলিতে গুরুতর আহত হন জুনাইদ। তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর তার পেট থেকে গুলি অপসারণ করা গেলেও ডান হাতে স্থায়ী ক্ষতি হয়। বর্তমানে নিয়মিত থেরাপি নিতে হচ্ছে, যন্ত্রণাও কমেনি। তবু তিনি হার মানেননি।

সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জুনাইদ বলেন, “সংস্কারের নামে দেশে এখনো ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, তারা কোনোভাবেই একটি বৈধ রাজনৈতিক দলের মর্যাদা পেতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের যত গভীরে শিকড়ই গেড়েছে, তার মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। আমরা এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা চাই, যেখানে পক্ষপাতহীনভাবে সব দলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে।”

দুপুরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি যখন সমাবেশস্থলে পৌঁছান, নেতাকর্মীরা স্লোগানে তাকে বরণ করে নেন।

গাজী জুনাইদের উপস্থিতি ও বক্তব্য নতুন করে আলোচনায় এনেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের ভূমিকা।