ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিপদ কেটে গেলে মানুষ উৎফুল্ল হয়, অহঙ্কারী হয় দেখতে পাচ্ছি: নুর

বিপদ কেটে গেলে মানুষ উৎফুল্ল হয়, অহঙ্কারী হয় দেখতে পাচ্ছি: নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, “আল্লাহ মানুষকে ধন-সম্পদ ও ক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করেন। গত ১৬ বছরে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছেন, আর আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।”

তিনি বলেন, “জুলাইয়ে আমরা বাংলাদেশের মানুষের ওপর চেপে থাকা দৈত্য-দানবের মতো এক ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ হাদীসে আছে, বিপদ কেটে গেলে মানুষ উৎসাহিত হয়ে অহংকারী হয়ে পড়ে। আজ আমরা দেখছি, গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার অনেক মজলুমই এখন জালিমের চরিত্র ধারণ করছে।”

নুর আরও বলেন, “এই বিজয় যদি সত্যিকার অর্থে মানুষের মুক্তি নিশ্চিত না করে, বরং ক্ষমতার দম্ভে মানুষকেই দমন করতে শুরু করে—তাহলে তা হবে ইতিহাসের ট্র্যাজেডি।”

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, “মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা যদি সীমা লঙ্ঘন করি শেখ হাসিনার মতো আল্লাহপাকও কিন্তু আমাদেরকে ছাড় দিবেন না। আজকের যেই ছাত্র জনতার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রক্ত এবং প্রাণের বিনিময়ে আমরা ঐতিহাসিক পরিবর্তন পেয়েছি এই পরিবর্তনকে টেকসই করার জন্য শাসনতান্ত্রিক এবং সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে। শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন না করে নির্বাচনের দিকে হাঁটবেন না। নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দল যেন নির্বিঘ্নে প্রচার করতে পারে নিরপেক্ষ একটি প্রশাসনিক এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকে সেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।”

“জুলাই ঘোষণাপত্র এবং যে জুলাই সনদ জুলাই মাসে বাস্তবায়ন করার কথা, সরকার যদি দিতে ব্যর্থ হয়; জুলাই অংশীদাররা ঐক্যমতের ভিত্তিতে আবার আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি,” উচ্চারণ করেন নুর।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপদ কেটে গেলে মানুষ উৎফুল্ল হয়, অহঙ্কারী হয় দেখতে পাচ্ছি: নুর

আপডেট সময় ০৬:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, “আল্লাহ মানুষকে ধন-সম্পদ ও ক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করেন। গত ১৬ বছরে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছেন, আর আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।”

তিনি বলেন, “জুলাইয়ে আমরা বাংলাদেশের মানুষের ওপর চেপে থাকা দৈত্য-দানবের মতো এক ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ হাদীসে আছে, বিপদ কেটে গেলে মানুষ উৎসাহিত হয়ে অহংকারী হয়ে পড়ে। আজ আমরা দেখছি, গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার অনেক মজলুমই এখন জালিমের চরিত্র ধারণ করছে।”

নুর আরও বলেন, “এই বিজয় যদি সত্যিকার অর্থে মানুষের মুক্তি নিশ্চিত না করে, বরং ক্ষমতার দম্ভে মানুষকেই দমন করতে শুরু করে—তাহলে তা হবে ইতিহাসের ট্র্যাজেডি।”

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, “মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা যদি সীমা লঙ্ঘন করি শেখ হাসিনার মতো আল্লাহপাকও কিন্তু আমাদেরকে ছাড় দিবেন না। আজকের যেই ছাত্র জনতার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রক্ত এবং প্রাণের বিনিময়ে আমরা ঐতিহাসিক পরিবর্তন পেয়েছি এই পরিবর্তনকে টেকসই করার জন্য শাসনতান্ত্রিক এবং সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে। শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন না করে নির্বাচনের দিকে হাঁটবেন না। নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দল যেন নির্বিঘ্নে প্রচার করতে পারে নিরপেক্ষ একটি প্রশাসনিক এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা থাকে সেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।”

“জুলাই ঘোষণাপত্র এবং যে জুলাই সনদ জুলাই মাসে বাস্তবায়ন করার কথা, সরকার যদি দিতে ব্যর্থ হয়; জুলাই অংশীদাররা ঐক্যমতের ভিত্তিতে আবার আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি,” উচ্চারণ করেন নুর।