জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পাবনায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতীকী ম্যারাথন। জেলা প্রশাসন পাবনা এই ম্যারাথনের আয়োজন করে।
১৮ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৭টায় পাবনার ঐতিহ্যবাহী সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের মেইন ফটকের সামনে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। পরবর্তীতে কলেজ গেইট থেকে শুরু হওয়া এই প্রতীকী ম্যারাথন শহীদ চত্ত্বর ঘুরে পাবনা-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এডিসি জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় ম্যারাথন পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখা আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, শহীদ জাহিদের পিতা দুলাল মাস্টার, শহীদ মাহবুবুর রহমান নিলয়ের পিতা আবুল কালাম আজাদ।
শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এ ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করেন পাবনা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক স্বপন কুমার কর্মকার, সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, পাবনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সেচ্ছাসেবী সংগঠসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আমরা মাস ব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন করছি। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য নিয়ে এই প্রতীকী ম্যারাথনের আয়োজন। যেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মনের ভিতরে এক ধরনের জাগরণ নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করে এবং ম্যারাথনটি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। এই প্রতীকী ম্যারাথনের মাধ্যমে সকালের যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সেটি অংশগ্রহণকারীরা দেখতে পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিজেদের তাগিদ থেকেই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য জুলাইয়ে সাহসী ভূমিকা রেখে যুদ্ধ করেছিলেন এ দেশের মানুষ। সেই যুদ্ধে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের সামনে রেখে আমাদেরও আগামীর পথ চলতে হবে।
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যে আশা নিয়ে যুদ্ধ করেছে সেটি যেন বিনষ্ট না হয়। আমরা জুলাইকে ধারণ করে এবং জুলাইকে সামনে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই। সকল বৈষম্য পেছনে ফেলে আগামীর বাংলাদেশ সুখি ও সমৃদ্ধি হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের আরও আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।