ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বাংলাদেশের মানবিক উদ্যোগে সহায়তা পৌঁছেছে প্রায় ২০০টি পরিবারের মধ্যে। মিশরের ঐতিহ্যবাহী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মানবিক সংগঠন ‘ইউথ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’-এর তত্ত্বাবধানে এবং ‘মাই ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ ও কানাডা প্রবাসী মুসলিমদের অর্থায়নে গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি।
মানবিক এই সহায়তা কার্যক্রমকে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আন্তরিক প্রয়াস হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্যেক্তারা জানিয়েছে, কিছুদিন আগে যুদ্ধবিরতি উঠে যাওয়ায় গাজার সঙ্গে মিশরের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর ত্রাণসামগ্রী গাজায় পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে সেখানে তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা যায় এবং বর্তমানে অনেক মানুষ এবং শিশু খাদ্যাভাবে মারা যাচ্ছে, আমাদের ভলান্টিয়ার টিম এইসব তথ্য আমাদের দিলে আমরা তাদের সাহায্য করার উদ্যোগ নিই এবং প্রায় ২০০টি পরিবারের কাছে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করি। এ ছাড়া আমাদের গাজার অভ্যন্তরীণ সেন্ট্রাল কিচেন থেকে প্রায় ৩০০ পরিবারের জন্য খাবার সরবরাহের কাজ চলমান রয়েছে।
সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে মাই ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম সাকিব বলেন, ‘গাজার ভেতরে কাজ করা সিভিলিয়ান এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে আমরা সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। এটি মিশরের ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যম তাদের পৌঁছে দিচ্ছি। তারা আমাদের ব্যানারেই এগুলো সবার মধ্যে বিতরণ করছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বে হাজার হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেছি।
যা এক হাজারেরও বেশি পরিবারের মাঝে বণ্টন করা হয়। এ ছাড়া আমরা গৃহহীন মানুষদের জন্য অস্থায়ী তাঁবু এবং মসজিদ নির্মাণ করেছি। গাজায় ৪টি গৃহহীন পরিবারকে সাময়িক বাসস্থানের জন্য তাঁবু দিয়ে ঘর তৈরি করে দিয়েছি। কায়রোর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনি ভাই ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা করে আসছি।