আজ ১৬ জুলাই, ঐতিহাসিক‘জুলাই শহীদ দিবস’। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম পথিকৃৎ, স্বৈরতন্ত্রের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো এক সাহসী তরুণ, আবু সাঈদের আত্মত্যাগের দিন। তার এই আত্মবলিদান গণআন্দোলনের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল; উজ্জীবিত করেছিল লাখো বিপ্লবীকে, যারা নেমে এসেছিলেন ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে বিজয়ের আশায়।
আবু সাঈদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ স্মরণে দিনটিকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ উপলক্ষে আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালিত হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকার প্রতি বছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ওইদিন ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের নিমিত্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২১ অক্টোবর-২০২৪ তারিখের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে আজ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সব মসজিদে আজ বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও আয়োজন করা হয়েছে প্রার্থনা সভা, আত্মত্যাগী বীরদের আত্মার মাগফিরাত কামনায়।