বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান হবে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “এ দেশে আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনীতি হবে না। আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে তার বিচার করতে হবে।”
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত “গণঅভ্যুত্থানের বাঁক বদলের দিন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য ১৯৭১ সালে লক্ষ শহীদ জীবন দিয়েছিলেন, তা ভুলে গিয়ে শেখ মুজিব ৪ বছরের মাথায় গণতন্ত্রকেই ভ্যানিশ করে দিল। এক দলীয় শাসন ব্যাবস্থা কায়েম করল। এটা তারাই করেছে যারা ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা। শেখ মুজিবুর রহমান ফ্যাসিস্ট ছিল, তার কন্যা (শেখ হাসিনা) তো ডাবল ফ্যাসিস্ট হয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কখনো প্রত্যাবর্তন করুক, তা মানুষ চায় না।”
তিনি আরো বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আন্দোলনকারীদের রক্তদানকে যারা কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল ধরাতে চাচ্ছে করছে, বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনায় বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতৃস্থানীয় নেতৃবৃন্দের নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে, বিভিন্ন রকমের স্লোগানের মধ্যে দিয়ে বিভক্তি চেষ্টা করছে। তারা ফ্যাসিবাদের আগমনকে স্বাগত জানায়।”
সালাহউদ্দিন বলেন, “বিগত ১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠিত হয়েছে। মাত্র ৩৬ দিনে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
জুলাই সনদ নিয়ে সালাহউদ্দিন আরো বলেন, “জুলাই সনদ নিয়ে কাজ চলছে, তবে তা হচ্ছে খুব ধীরগতিতে। আমি জানি না, এত ধীরগতির কাজ করে তারা সফল হবে কিনা ৷ ১২ ফেব্রুয়ারি আমরা আমাদের দলীয় পক্ষ থেকে একটি খসড়া সনদ সরকার দিয়েছি। কিছুদিন আগে তারা আবার একটা রিফাইন্ড ভার্সন চেয়েছে আমরা সেটাও দিয়েছি।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের যথাযথ মর্যাদা দেব ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেব। সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে তার বর্ণনা থাকবে। যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, তার স্বীকৃতিও সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী।” এ সময় তিনি ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবি করেন।