ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মুন্সিগঞ্জ সদরের ৩ কিলোমিটার সড়কে ভোগান্তির চূড়ান্ত রূপ

মুন্সিগঞ্জ শহরের মানিকপুর দশতলা বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাটাখালি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধান সড়ক যেন এখন গর্তের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাঁটাচলা তো দূরের কথা, চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে পুরো সড়কটি।

বিগত ১১ মাস ধরে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ—বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা—এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার স্থায়ী সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হলেও, বাস্তবতা বলছে তার উল্টো কথা। কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ শুরু হয়নি, হয়নি কোন স্থায়ী সমাধানের বাস্তব প্রয়োগ।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন অন্তত ৭টি স্কুল ও ৪টি কলেজের শিক্ষার্থী। স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকের রোগী
পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, আদালত ও ভূমি অফিসের সেবাপ্রার্থীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,আমরা যেন প্রতিদিন গর্তের ভিতর দিয়ে অফিস-স্কুলে যাচ্ছি। কেউ খেয়াল করছে না আমাদের দুর্ভোগ।

একজন শিক্ষার্থী জানায়,প্রতিদিন জুতা ভিজে যায়, পোশাক নোংরা হয়, সময়মতো স্কুলে পৌঁছানোই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।”
এমন অব্যবস্থাপনার ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সময়, অর্থ ও স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে; অন্যদিকে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন,এই দুর্ভোগের শেষ কোথায়? আর কতদিন ভরসা করতে হবে ‘আশ্বাসের উন্নয়ন’-এর উপর?

এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দ্রুত ও টেকসই সংস্কারের দাবিতে শহরের নাগরিকরা এখন ঐক্যবদ্ধ। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই আবেদন কথা নয়, এখন চাই কাজ।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকবেন ট্রাম্প, ভেন্যুতে কড়া নিরাপত্তা

মুন্সিগঞ্জ সদরের ৩ কিলোমিটার সড়কে ভোগান্তির চূড়ান্ত রূপ

আপডেট সময় ১০:৫২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

মুন্সিগঞ্জ শহরের মানিকপুর দশতলা বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাটাখালি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধান সড়ক যেন এখন গর্তের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাঁটাচলা তো দূরের কথা, চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে পুরো সড়কটি।

বিগত ১১ মাস ধরে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ—বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা—এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার স্থায়ী সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হলেও, বাস্তবতা বলছে তার উল্টো কথা। কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ শুরু হয়নি, হয়নি কোন স্থায়ী সমাধানের বাস্তব প্রয়োগ।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন অন্তত ৭টি স্কুল ও ৪টি কলেজের শিক্ষার্থী। স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকের রোগী
পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, আদালত ও ভূমি অফিসের সেবাপ্রার্থীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,আমরা যেন প্রতিদিন গর্তের ভিতর দিয়ে অফিস-স্কুলে যাচ্ছি। কেউ খেয়াল করছে না আমাদের দুর্ভোগ।

একজন শিক্ষার্থী জানায়,প্রতিদিন জুতা ভিজে যায়, পোশাক নোংরা হয়, সময়মতো স্কুলে পৌঁছানোই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।”
এমন অব্যবস্থাপনার ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সময়, অর্থ ও স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে; অন্যদিকে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন,এই দুর্ভোগের শেষ কোথায়? আর কতদিন ভরসা করতে হবে ‘আশ্বাসের উন্নয়ন’-এর উপর?

এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দ্রুত ও টেকসই সংস্কারের দাবিতে শহরের নাগরিকরা এখন ঐক্যবদ্ধ। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই আবেদন কথা নয়, এখন চাই কাজ।