জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই-অগাস্টে শহীদদের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ববোধ আছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন।
রবিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১২তম দিনের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “মৌলিক বিষয়গুলোতে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা পর্বের একটি যৌক্তিক সমাপ্তি এবং একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে৷ আমাদের মৌলিক বিষয়গুলোতে দ্রুততার সঙ্গে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে হবে৷” রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক ব্যস্ততার মধ্যেও আলোচনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় তিনি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। আজও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা এ তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে৷