ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নালিতাবাড়ীতে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে দোস্ত এইডের খাদ্য সহায়তা বিতরণ Logo হাতিয়ায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী কে সিঙ্গেল ডিজিট সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির Logo পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে অনশন, অসুস্থ দুই শিক্ষার্থী Logo বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা, বজ্রসহ ভারী বর্ষণের আভাস Logo যারা আগে আ‘মী লীগে ছিলেন, তাদের বিএনপিতে আসা নিয়ে কেউ যেন হাসি-ঠাট্টা না করে Logo বিএনপি ভাঙার মিশন:জিএম কাদেরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে এনায়েত Logo চুয়াডাঙ্গায় পূর্ব শক্রতার জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা Logo যারা হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে চলছিলো তারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : সরওয়ার Logo কুমিল্লায় চোর সন্দেহে যুবককে আটকে কুকুর লেলিয়ে নির্যাতন Logo যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ জন

ছাত্র রাজনীতিতে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ছাত্র রাজনীতিতে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। জবির দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতার ওপর ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলার পরই এ দাবি জানাল তারা।

রোববার (১৩ জুলাই) জবির ভিসি ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানান। এছাড়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ও হামলায় জড়িত অছাত্রদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যতায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, ‘এ ক্যাম্পাসে কোনোদিন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার সাহস কেউ করেনি। ৫ আগস্টের আগেও আমাদের শিক্ষকের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। ৫ আগস্টের পরে এসে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার সাহস তারা কোথায় পেল?’

তোফায়েল ইসলাম নাম আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগে শিক্ষার্থীদের ট্যাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে দিতো না। ট্যাগের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। আগে দেওয়া হত শিবির ট্যাগ। এখন ছাত্রলীগ ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। যারা জুলাইয়ে আহত হয়েছে, তাদের ট্যাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।’

এর আগে, গত ১০ জুলাই বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে বিভাগে আটকে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে মারধর শুরু করে। এসময় একই বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাদেরকেও গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা।

একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি মো. ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান ও যুগ্ম-আহবায়ক ফারুককেও ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জনপ্রিয় সংবাদ

নালিতাবাড়ীতে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে দোস্ত এইডের খাদ্য সহায়তা বিতরণ

ছাত্র রাজনীতিতে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় ০৭:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। জবির দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতার ওপর ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলার পরই এ দাবি জানাল তারা।

রোববার (১৩ জুলাই) জবির ভিসি ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানান। এছাড়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ও হামলায় জড়িত অছাত্রদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যতায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, ‘এ ক্যাম্পাসে কোনোদিন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার সাহস কেউ করেনি। ৫ আগস্টের আগেও আমাদের শিক্ষকের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। ৫ আগস্টের পরে এসে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার সাহস তারা কোথায় পেল?’

তোফায়েল ইসলাম নাম আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগে শিক্ষার্থীদের ট্যাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে দিতো না। ট্যাগের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। আগে দেওয়া হত শিবির ট্যাগ। এখন ছাত্রলীগ ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। যারা জুলাইয়ে আহত হয়েছে, তাদের ট্যাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।’

এর আগে, গত ১০ জুলাই বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে বিভাগে আটকে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে মারধর শুরু করে। এসময় একই বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাদেরকেও গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা।

একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি মো. ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান ও যুগ্ম-আহবায়ক ফারুককেও ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।