মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পাওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তানহা আক্তার (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী। তানহা নালী বড়রিয়া কৃষ্ণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
তার প্রাপ্ত জিপিএ ছিল ৪.৮৫। নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. মোনতাজ আলী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের ধুতুরাবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়ির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তানহা সব সময় পড়াশোনায় ভালো ছিল এবং প্রতি বছর ক্লাসে প্রথম হতো। এবার বিদ্যালয় থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। নিজের কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তানহা। ফল প্রকাশের আগে সে ঢাকায় বড় বোনের বাসায় ছিল। ফল জানার পর গতকাল শুক্রবার বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকেই তানহা মনমরা হয়ে ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তানহা তার নিজ কক্ষে সবার অগোচরে গলায় ফাঁস দেয়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে শিবালয় থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে মানসিক চাপে তানহা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে।’
তানহার মৃত্যুর খবরে সহপাঠী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়লে ধুতুরাবাড়ি গ্রামের বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় করেন তার মরদেহ দেখতে। সবাই গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার অকাল প্রয়াণে হতবাক প্রতিক্রিয়া জানান। পুরো এলাকায় নেমে আসে নীরবতা ও স্তব্ধতা।