শনিবার (১২ জুলাই) নোয়াখালী ক্লাব ঢাকা লিমিটেডের মিলনায়তনে নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম, এনজেএফ-ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে দেশীয় ফল উৎসবে। ফল উৎসব চলে দুপুর ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, নোয়াখালীতে বিমান বন্দর ও বিভাগ হলে আর চাপ পড়বে না চট্টগ্রামের উপর। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি জেলা হলো নোয়াখালী । যদি বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দর হলে নোয়াখালীর অর্থনীতি আরও বৃদ্ধি হবে। নোয়াখালীর মানুষের বিভাগ নিয়ে যে দাবি সেটি যৌক্তিক।
শুধু ঢাকা শহুর নয় সারা বিশ্বে নোয়াখালীর মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। মানুষ বলে নোয়াখালীর মানুষকে চাঁদেও দেখা যায়।এই কথাটি এম্নেই বলে না,আমাদের মধ্যে যে ধৈর্য ও পরিশ্রম সেটার কারণে এই কথা বলে।নোয়াখালীকে আধুনিক বিভাগ গড়ার অঙ্গিকার ও দেন তিনি।
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা হত্যার প্রতিবাদ জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিন্দা জানাই। একই সাথে এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত তাদের বিচারের দাবি করছি।
কেন আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ এমন প্রশ্ন রেখে এ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা তো চার পাঁচ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি, বহিষ্কার মানে কি দায় স্বীকার? মোটেও দায়ী স্বীকার না। আমরা তাদের বর্জন করলাম। আমরা আমাদের বিএনপি পরিবার থেকে তাদেরকে বের করে দিলাম। দল থেকে বের করে দেওয়া মানে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই, কিন্তু পুলিশ এইসব লোকদেরকে গ্রেফতার করল না কেন তা জানতে চাই। তিনি বলেন, অপরাধ থাকতেই পারে। কিন্তু এদেরকে গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার কেন সে দায়িত্ব পালন করছে না?
থানা গুলিতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা ভীড় করেন, সন্ধ্যার পর থানার ভিতর আড্ডা মারেন বলে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বলেন, কেন পুলিশ তাদেরকে থানায় জায়গা দিবে। সরকার নিরপেক্ষ পুলিশ করে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কেন দলীয় লোকজন থানার ভিতরে গিয়ে সালিশ করবে। এগুলো অবলিম্বে বন্ধ করতে হবে। মব জাস্টিস বন্ধ ও ফেসবুকে গুজব ছড়ানো লোকদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মাহবুবউদ্দিন খোকন।
এনজেএফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস কে সৌরভের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এফআই মাসউদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালেহ মো. অলক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মো. শহীদুল ইসলাম, নারী বিষয় সম্পাদক ফাতেমা কাউসার, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী জিএস সুমন, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম বিএসআরএফ’র সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন পিন্নু, সিনিয়র সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদগণ।
এছাড়াও সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা শুধু সংবাদ নিয়েই থাকেনা জাতীয় উৎসবেও তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আজকের এই দেশীয় ফলের আয়োজনের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়বে। এ আয়োজনের জন্য নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম এনজেএফ ঢাকার কে ধন্যবাদ জানান তারা। আর দেশীয় ফলের এ সমাহার দেখে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ সবাই উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ও নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম এনজেএফ ঢাকার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফয়েজ বলেন, ব্যস্ত নাগরিক জীবনে সাংবাদিকদের এক টেবিলে মৌসুমি ফলের স্বাদ উপস্থাপনের জন্য এনজেএফ ঢাকার এ আয়োজন। আনন্দ মুখর পরিবেশে এই ফল উৎসব সদস্যদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।