গাইবান্ধা সদরের গিদারী ইউনিয়নের হাজারীপাড়া গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্কের জেরে কনের জ্যাঠা মোঃ ছায়দার আলী (৫০) নিহত হয়েছেন। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গত ২৩ জুন ভোররাতে আনুমানিক ২টার দিকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের ঠেংগামারা গ্রামের গোলজার মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৩) এর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় গিদারী ইউনিয়নের মোঃ হায়দার আলীর মেয়ে শিখা আক্তারের। বিয়েতে ছেলেপক্ষ থেকে ৪০ জন আসার কথা থাকলেও উপস্থিত হন প্রায় ১২০ জন। খাবার পরিবেশনের সময় মাংস কম পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বরপক্ষের একজন নারী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্লেট ছুঁড়ে মারেন কনের জ্যাঠা ছায়দার আলীর মুখে।
এ ঘটনা নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে বর রাসেল, তার পিতা গোলজার মিয়া এবং বরপক্ষের আরও কয়েকজন মিলে কনের জ্যাঠা ছায়দার আলীর ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে কনের ভাই আল-আমিন, আসিফ, মামা মিঠুসহ আরও কয়েকজনকেও মারধর করা হয়। এ সময় বিয়ের জন্য ভাড়া করা চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য সামগ্রীও ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ছায়দার আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত লাশ দাফন করেন। তবে পরে পরিবারের সদস্যরা পুনরায় লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।