ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ Logo বাকসু নিয়ে বিতর্কিত গণভোট আয়োজনের অভিযোগ ববি ছাত্র কাউন্সিলের বিরুদ্ধে Logo ‎বাগেরহাটে আসন কমানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী, করেছে বিক্ষোভ ‎ Logo উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া Logo ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo নওগাঁয় আলু চাষিদের বিক্ষোভ: ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ Logo বিএনপি অফিসের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo ৪০০ এসএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা দিল জুড়ী ছাত্রশিবির Logo ৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ৩০ জুলাই ফেসবুকে‘প্রোফাইল লাল’করে প্রতিবাদ

গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১

গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১

গাইবান্ধা সদরের গিদারী ইউনিয়নের হাজারীপাড়া গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্কের জেরে কনের জ্যাঠা মোঃ ছায়দার আলী (৫০) নিহত হয়েছেন। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গত ২৩ জুন ভোররাতে আনুমানিক ২টার দিকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের ঠেংগামারা গ্রামের গোলজার মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৩) এর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় গিদারী ইউনিয়নের মোঃ হায়দার আলীর মেয়ে শিখা আক্তারের। বিয়েতে ছেলেপক্ষ থেকে ৪০ জন আসার কথা থাকলেও উপস্থিত হন প্রায় ১২০ জন। খাবার পরিবেশনের সময় মাংস কম পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বরপক্ষের একজন নারী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্লেট ছুঁড়ে মারেন কনের জ্যাঠা ছায়দার আলীর মুখে।

এ ঘটনা নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে বর রাসেল, তার পিতা গোলজার মিয়া এবং বরপক্ষের আরও কয়েকজন মিলে কনের জ্যাঠা ছায়দার আলীর ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে কনের ভাই আল-আমিন, আসিফ, মামা মিঠুসহ আরও কয়েকজনকেও মারধর করা হয়। এ সময় বিয়ের জন্য ভাড়া করা চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য সামগ্রীও ভাঙচুর করা হয়।

স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ছায়দার আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পরবর্তীতে একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত লাশ দাফন করেন। তবে পরে পরিবারের সদস্যরা পুনরায় লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ

গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১

আপডেট সময় ০৯:৫০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধা সদরের গিদারী ইউনিয়নের হাজারীপাড়া গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্কের জেরে কনের জ্যাঠা মোঃ ছায়দার আলী (৫০) নিহত হয়েছেন। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গত ২৩ জুন ভোররাতে আনুমানিক ২টার দিকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের ঠেংগামারা গ্রামের গোলজার মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৩) এর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় গিদারী ইউনিয়নের মোঃ হায়দার আলীর মেয়ে শিখা আক্তারের। বিয়েতে ছেলেপক্ষ থেকে ৪০ জন আসার কথা থাকলেও উপস্থিত হন প্রায় ১২০ জন। খাবার পরিবেশনের সময় মাংস কম পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বরপক্ষের একজন নারী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্লেট ছুঁড়ে মারেন কনের জ্যাঠা ছায়দার আলীর মুখে।

এ ঘটনা নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে বর রাসেল, তার পিতা গোলজার মিয়া এবং বরপক্ষের আরও কয়েকজন মিলে কনের জ্যাঠা ছায়দার আলীর ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে কনের ভাই আল-আমিন, আসিফ, মামা মিঠুসহ আরও কয়েকজনকেও মারধর করা হয়। এ সময় বিয়ের জন্য ভাড়া করা চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য সামগ্রীও ভাঙচুর করা হয়।

স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ছায়দার আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পরবর্তীতে একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত লাশ দাফন করেন। তবে পরে পরিবারের সদস্যরা পুনরায় লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।