ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ Logo জনপ্রতিনিধিরা শাসক নয় হবে খাদেম: সেলিম উদ্দিন Logo ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হবে’ Logo নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সব ভোটকেন্দ্র Logo সরকারি খরচে বিদেশ সফর বন্ধ, কেনা যাবে না গাড়ি Logo ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হলে এক পয়সাও দুর্নীতি হবে না: শায়খে চরমোনাই Logo গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লা’ঠিচা’র্জে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২০ শিক্ষার্থী আ’হ’ত Logo বন্যা পরিস্থিতি খাগড়াছড়ি: পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত Logo কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

ফুলগাজীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে জামায়াতের জেলা আমীর মুফতি আবদুল হান্নান

আজ(৯ জুলাই) বিকালে ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ভাঙ্গন কবলিত বাঁধ পরিদর্শন, আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের খোঁজখবর, ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার, সুপেয় পানি বিতরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেনী জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মুফতি আব্দুল হান্নান।

এসময় পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে যেভাবে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে, আজকে ২৫ সালেও সুষ্ঠু, টেকসই বাঁধ নির্মাণ না করার কারণে প্রায় ১৬ জায়গায় বাঁধ ভেঙে পানি স্রোতের মত ডুকতেছে। ২০২৫ সালেও ফেনীবাসী আবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, আমরা আজকে সেই দুর্বলতা গুলো চিহ্নিত করে আগামী দিনে যাতে বন্যায় পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য টেকসই বাঁধ নির্মাণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বন্যার্তদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা ও তাদের জন্য শুকনো খাবার, পানি,ওষুধ, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো পৌঁছায়ে দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা জামায়াতের আমীর জামাল উদ্দীন চৌধুরীসহ ইউনিয়ন ও স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, টানা ৩ দিনের ভারীবর্ষন ও সীমান্তবর্তী বল্লামুখার ভারতীয় ১ টি অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে পরশুরাম- ফুলগাজী উপজেলা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত মঙ্গল ও বুধবার ফুলগাজী উপজেলা মুহুরী নদীর দেড়পাড়ায় বেড়ীবাঁধের ২ টি ভাঙন, উত্তর শ্রীপুর ২ টি, কহুয়া নদীর ১ টি স্থান, সিলনীয়া নদীর কমুয়া, তারালিয়া ও নোয়াপুর অঞ্চলে ৪ টি, আমজাদ হাটে ১ ও গতীয়া নদীর ১ টি স্থানে বাঁধ ভেঙে তীব্র স্রোতে লোকালয় প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া পুরো উপজেলায় অসংখ্য মাছের গের, পল্টি খামার ও রাস্তাঘাট ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফুলগাজী উপজেলায় ১৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দেড় হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এসকল আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও সদর ইউনিয়নে ২ টি কেন্দ্রে রান্না করা খাওয়া সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপি, জামায়াত ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধার ও ত্রান কার্যক্রমে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ

ফুলগাজীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে জামায়াতের জেলা আমীর মুফতি আবদুল হান্নান

আপডেট সময় ০৬:০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

আজ(৯ জুলাই) বিকালে ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ভাঙ্গন কবলিত বাঁধ পরিদর্শন, আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের খোঁজখবর, ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার, সুপেয় পানি বিতরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেনী জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মুফতি আব্দুল হান্নান।

এসময় পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে যেভাবে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে, আজকে ২৫ সালেও সুষ্ঠু, টেকসই বাঁধ নির্মাণ না করার কারণে প্রায় ১৬ জায়গায় বাঁধ ভেঙে পানি স্রোতের মত ডুকতেছে। ২০২৫ সালেও ফেনীবাসী আবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, আমরা আজকে সেই দুর্বলতা গুলো চিহ্নিত করে আগামী দিনে যাতে বন্যায় পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য টেকসই বাঁধ নির্মাণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বন্যার্তদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা ও তাদের জন্য শুকনো খাবার, পানি,ওষুধ, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো পৌঁছায়ে দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা জামায়াতের আমীর জামাল উদ্দীন চৌধুরীসহ ইউনিয়ন ও স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, টানা ৩ দিনের ভারীবর্ষন ও সীমান্তবর্তী বল্লামুখার ভারতীয় ১ টি অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে পরশুরাম- ফুলগাজী উপজেলা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত মঙ্গল ও বুধবার ফুলগাজী উপজেলা মুহুরী নদীর দেড়পাড়ায় বেড়ীবাঁধের ২ টি ভাঙন, উত্তর শ্রীপুর ২ টি, কহুয়া নদীর ১ টি স্থান, সিলনীয়া নদীর কমুয়া, তারালিয়া ও নোয়াপুর অঞ্চলে ৪ টি, আমজাদ হাটে ১ ও গতীয়া নদীর ১ টি স্থানে বাঁধ ভেঙে তীব্র স্রোতে লোকালয় প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া পুরো উপজেলায় অসংখ্য মাছের গের, পল্টি খামার ও রাস্তাঘাট ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফুলগাজী উপজেলায় ১৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দেড় হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এসকল আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও সদর ইউনিয়নে ২ টি কেন্দ্রে রান্না করা খাওয়া সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপি, জামায়াত ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধার ও ত্রান কার্যক্রমে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।