ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সীমান্ত জুড়ে সংঘর্ষ: ২০০ তালেবান সদস্য নিহতের দাবি পাকিস্তানের Logo শহীদ মিনারেই রাত কাটাবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা Logo রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo চবি শিবিরের এজিএস প্রার্থীকে নিয়ে সহপাঠীর স্ট্যাটাস ‘মুন্নার মতো ছেলে শিবিরের তৈরি?’ Logo কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না: দুলু Logo ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দে আইকনিক হচ্ছে আন্দরকিল্লা মসজিদ Logo নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল জামায়াতে ইসলামী Logo চবি ছাত্রদলের ৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ শিবিরের Logo সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে Logo চবির আবাসিক হলে ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর কক্ষে দুই বহিরাগত সনাক্ত

ফেনীতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে যানচলাচল।

তরে আজ বুধবার (৯ জুলাই) বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে শহরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতাও কমতে শুরু করেছে। এতে শহরবাসীর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনায় দুইটি, অলকায় তিনটি, শালধর এলাকায় একটি, ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগর এলাকায় একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়া এলাকার দুইটি স্থানে ভেঙেছে। এছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়ায় দুইটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে এসব স্থানে ভাঙনের দেখা দেয়

ফুলগাজীর নিলক্ষ্মী এলাকার বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। তবে ভাঙন স্থানগুলো দিয়ে এখনো পানি ঢুকছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গেল বছরের বন্যার মতো এবারও মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে ভুগতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।

পরশুরামের তুলাতলী এলাকার বাসিন্দানা বলছে , গতকাল সন্ধ্যা থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এখন চারদিকে থইথই পানি। বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বন্যার্তদের জন্য কোনো শুকনো খাবার বা সহায়তা আসেনি। এখনো বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

পরশুরামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, রাত থেকে বাঁধের কোনো স্থানে নতুন করে ভাঙেনি। লোকালয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। আমরা দুর্গতদের পাশে থেকে কাজ করছি।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা তিন দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকালের তুলনায় বৃষ্টিপাত কমেছে। আগামীকালও জেলাজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, আমরা সকাল পর্যন্ত ১১টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মধ্যরাত থেকে পানি কিছুটা কমেছে। উজানে বৃষ্টি বন্ধ থাকলে বাঁধ ভাঙনের শঙ্কা কমবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্ত জুড়ে সংঘর্ষ: ২০০ তালেবান সদস্য নিহতের দাবি পাকিস্তানের

ফেনীতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে যানচলাচল।

তরে আজ বুধবার (৯ জুলাই) বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে শহরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতাও কমতে শুরু করেছে। এতে শহরবাসীর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনায় দুইটি, অলকায় তিনটি, শালধর এলাকায় একটি, ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগর এলাকায় একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়া এলাকার দুইটি স্থানে ভেঙেছে। এছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়ায় দুইটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে এসব স্থানে ভাঙনের দেখা দেয়

ফুলগাজীর নিলক্ষ্মী এলাকার বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। তবে ভাঙন স্থানগুলো দিয়ে এখনো পানি ঢুকছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গেল বছরের বন্যার মতো এবারও মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে ভুগতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।

পরশুরামের তুলাতলী এলাকার বাসিন্দানা বলছে , গতকাল সন্ধ্যা থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এখন চারদিকে থইথই পানি। বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বন্যার্তদের জন্য কোনো শুকনো খাবার বা সহায়তা আসেনি। এখনো বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

পরশুরামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, রাত থেকে বাঁধের কোনো স্থানে নতুন করে ভাঙেনি। লোকালয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। আমরা দুর্গতদের পাশে থেকে কাজ করছি।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা তিন দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকালের তুলনায় বৃষ্টিপাত কমেছে। আগামীকালও জেলাজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, আমরা সকাল পর্যন্ত ১১টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মধ্যরাত থেকে পানি কিছুটা কমেছে। উজানে বৃষ্টি বন্ধ থাকলে বাঁধ ভাঙনের শঙ্কা কমবে।