ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে খুলনায় এসে তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

প্রেমের টানে খুলনায় এসে তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

ভালোবাসার টানে সব বাধা জয় করে খুলনায় এসেছেন এক চীনা যুবক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়, তারপর প্রেম—এভাবেই হৃদয়ের টানে বাংলাদেশে চলে আসেন থাম্বু জাও নামের ওই চীনা নাগরিক। খুলনার দাকোপ উপজেলার পিংকি সরদারকে বিয়ে করে এখন শ্বশুরবাড়িতে আছেন তিনি।

মাত্র দুই মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় থাম্বু ও পিংকির। এরপর কথা বলতে বলতে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। দুই দেশের ভৌগোলিক দূরত্বও বাধা হতে পারেনি তাদের ভালোবাসায়।

প্রেমকে পরিণতি দিতে থাম্বু বাংলাদেশে চলে আসেন ও আইনগতভাবে পিংকিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এখন তারা দাকোপ উপজেলার খ্রিষ্টানপল্লিতে পিংকির বাবার বাড়িতে থাকছেন।

পিংকি বলেন, থাম্বু খুব যত্নশীল। আমরা একে অপরকে বুঝতে পারি। এখন আমাদের জীবন খুব আনন্দের মধ্যে কাটছে। ভাষাগত কিছু সমস্যায় পড়লেও থাম্বু মোবাইল অ্যাপ দিয়ে পিংকির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। পাড়াপড়শিরাও ভিড় করছেন নতুন এ দম্পতিকে দেখতে।

থাম্বু জানান, ফেসবুকে পিংকির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর বুঝি সে একজন ভালো মানুষ। কিছুদিন প্রেম করার পর আমরা বিয়ে করি। এখন আমি ওর বাড়িতে থাকছি। পরিবেশ ভালো লেগেছে। চীনা খাবারের চেয়ে আলাদা হলেও এখন তিনি ধীরে ধীরে বাংলাদেশি খাবারে অভ্যস্ত হচ্ছেন। ভবিষ্যতে পিংকিকে নিয়ে চীন সফরের ইচ্ছা আছে তার।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে থেকে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে চান তিনি ও এখানেই বসবাসে আগ্রহী।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেমের টানে খুলনায় এসে তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

আপডেট সময় ১১:৪৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

ভালোবাসার টানে সব বাধা জয় করে খুলনায় এসেছেন এক চীনা যুবক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়, তারপর প্রেম—এভাবেই হৃদয়ের টানে বাংলাদেশে চলে আসেন থাম্বু জাও নামের ওই চীনা নাগরিক। খুলনার দাকোপ উপজেলার পিংকি সরদারকে বিয়ে করে এখন শ্বশুরবাড়িতে আছেন তিনি।

মাত্র দুই মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় থাম্বু ও পিংকির। এরপর কথা বলতে বলতে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। দুই দেশের ভৌগোলিক দূরত্বও বাধা হতে পারেনি তাদের ভালোবাসায়।

প্রেমকে পরিণতি দিতে থাম্বু বাংলাদেশে চলে আসেন ও আইনগতভাবে পিংকিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এখন তারা দাকোপ উপজেলার খ্রিষ্টানপল্লিতে পিংকির বাবার বাড়িতে থাকছেন।

পিংকি বলেন, থাম্বু খুব যত্নশীল। আমরা একে অপরকে বুঝতে পারি। এখন আমাদের জীবন খুব আনন্দের মধ্যে কাটছে। ভাষাগত কিছু সমস্যায় পড়লেও থাম্বু মোবাইল অ্যাপ দিয়ে পিংকির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। পাড়াপড়শিরাও ভিড় করছেন নতুন এ দম্পতিকে দেখতে।

থাম্বু জানান, ফেসবুকে পিংকির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর বুঝি সে একজন ভালো মানুষ। কিছুদিন প্রেম করার পর আমরা বিয়ে করি। এখন আমি ওর বাড়িতে থাকছি। পরিবেশ ভালো লেগেছে। চীনা খাবারের চেয়ে আলাদা হলেও এখন তিনি ধীরে ধীরে বাংলাদেশি খাবারে অভ্যস্ত হচ্ছেন। ভবিষ্যতে পিংকিকে নিয়ে চীন সফরের ইচ্ছা আছে তার।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে থেকে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে চান তিনি ও এখানেই বসবাসে আগ্রহী।