ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকনেতা বাবুলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

শ্রমিকনেতা বাবুলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতা বাবুল হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। বাবুল হোসেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।

সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, মালিকরা আন্দোলন দমন করতে ভয় দেখাবে, কিন্তু এ ভয়ের পাল্টা জবাব আমাদের দিতে হবে।

বাবুল হোসেনকে গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে ২০ ঘণ্টা গুম করে রাখা হয়েছিল। এরপর অজ্ঞাতনামা মামলায় ভাঙচুরের অভিযোগ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শুধু বাবুল হোসেন নন, বহু শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১ বছর ধরে ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে আমরা আন্দোলন করে আসছি।

কিন্তু আমরা দেখলাম সরকার ও মালিকপক্ষ সলাপরামর্শ করে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি ঘোষণা করেছে। এ মজুরি শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নামলে শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখা হয়েছে। আঞ্জুয়ারা, রাসেল, ইমরানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অপরাধ কী? আমাদের অপরাধ কী? আমরা শ্রমিকদের খেয়ে পরে বাঁচার স্বার্থে আন্দোলন করছি।

বাবুল হোসেনের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। মিছিলটি পল্টন বিজয়নগরসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন অপরাপর গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মজুরি বোর্ডকে লিখিতভাবে জানিয়েছি- যে মজুরি দেওয়া হয়েছে এই মজুরি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

এই মজুরি দিয়ে শ্রমিকের জীবন চলতে পারে না। গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি শামীম ইমাম বলেন, ‘মজুরি পুনর্বিবেচনার আন্দোলন কিন্তু ছেলেখেলা নয়। এটা শ্রমিকদের রুটি-রুজির আন্দোলন। আমরা নিহতদের এক জীবনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। আহতদের চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সহসভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা সভাপ্রধান জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা হযরত বিল্লাল, কেন্দ্রীয় নেতা ও রানা প্লাজার শ্রমিক রুপালী আক্তার, মামুন হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রমিকনেতা বাবুলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৭:১১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতা বাবুল হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। বাবুল হোসেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।

সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, মালিকরা আন্দোলন দমন করতে ভয় দেখাবে, কিন্তু এ ভয়ের পাল্টা জবাব আমাদের দিতে হবে।

বাবুল হোসেনকে গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে ২০ ঘণ্টা গুম করে রাখা হয়েছিল। এরপর অজ্ঞাতনামা মামলায় ভাঙচুরের অভিযোগ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শুধু বাবুল হোসেন নন, বহু শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১ বছর ধরে ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে আমরা আন্দোলন করে আসছি।

কিন্তু আমরা দেখলাম সরকার ও মালিকপক্ষ সলাপরামর্শ করে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি ঘোষণা করেছে। এ মজুরি শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নামলে শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখা হয়েছে। আঞ্জুয়ারা, রাসেল, ইমরানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অপরাধ কী? আমাদের অপরাধ কী? আমরা শ্রমিকদের খেয়ে পরে বাঁচার স্বার্থে আন্দোলন করছি।

বাবুল হোসেনের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। মিছিলটি পল্টন বিজয়নগরসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন অপরাপর গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মজুরি বোর্ডকে লিখিতভাবে জানিয়েছি- যে মজুরি দেওয়া হয়েছে এই মজুরি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

এই মজুরি দিয়ে শ্রমিকের জীবন চলতে পারে না। গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি শামীম ইমাম বলেন, ‘মজুরি পুনর্বিবেচনার আন্দোলন কিন্তু ছেলেখেলা নয়। এটা শ্রমিকদের রুটি-রুজির আন্দোলন। আমরা নিহতদের এক জীবনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। আহতদের চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সহসভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা সভাপ্রধান জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা হযরত বিল্লাল, কেন্দ্রীয় নেতা ও রানা প্লাজার শ্রমিক রুপালী আক্তার, মামুন হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।