ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোট কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব Logo চাকসুতে ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের ২৪টিতেই শিবিরের জয়,১টিতে ছাত্রদলের Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত

‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’

‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন তিনি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার ভবনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতায় ব্যর্থতা ছিল উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, “এই সময়ে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন ও অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিএনপি বারবার বলছে, তাদের নেতাকর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এগুলো নিয়ে আমরা কতটুকু সত্য সাংবাদিকতা করেছি- সেই আলাপ এখন হওয়া উচিত।”

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের জন্য আমরা চিঠি লিখছি। জাতিসংঘকে আমরা বলছি, আপনারা বাইরের বিশেষজ্ঞ দেন, তারা তদন্ত করুক- এখানে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই জায়গায় কাজ করার খুব প্রয়োজন, তাহলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ওপর একটা বিশ্বাস তৈরি হবে। আমরা নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করতে পারব। একজন সাংবাদিকের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- তিনি অপতথ্য দিচ্ছেন কি না, বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিগত সরকারের আমলে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, গত ১১ মাসে অন্তর্বতী সরকার মুক্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা কার্যকর জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যাতে সবাই সাংবাদিকতা করতে পারে। ইতোমধ্যে ডিজিটিাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন অ্যাক্ট করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না। গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ কেউ মিথ্যাচার করছে- এ অভিযোগ করে শফিকুল আলম বলেন, “সরকারকে জবাবদিহিতা করা সংবাদমাধ্যমের কাজ। আমরাও চাই আমাদের প্রতিটি কাজের সমালোচনা হোক। কিন্তু যিনি মিথ্যা বলছেন, তাকে গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ দিলে তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোট কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব

‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’

আপডেট সময় ০৯:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন তিনি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার ভবনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতায় ব্যর্থতা ছিল উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, “এই সময়ে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন ও অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিএনপি বারবার বলছে, তাদের নেতাকর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এগুলো নিয়ে আমরা কতটুকু সত্য সাংবাদিকতা করেছি- সেই আলাপ এখন হওয়া উচিত।”

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের জন্য আমরা চিঠি লিখছি। জাতিসংঘকে আমরা বলছি, আপনারা বাইরের বিশেষজ্ঞ দেন, তারা তদন্ত করুক- এখানে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই জায়গায় কাজ করার খুব প্রয়োজন, তাহলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ওপর একটা বিশ্বাস তৈরি হবে। আমরা নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করতে পারব। একজন সাংবাদিকের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- তিনি অপতথ্য দিচ্ছেন কি না, বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিগত সরকারের আমলে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, গত ১১ মাসে অন্তর্বতী সরকার মুক্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা কার্যকর জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যাতে সবাই সাংবাদিকতা করতে পারে। ইতোমধ্যে ডিজিটিাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন অ্যাক্ট করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না। গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ কেউ মিথ্যাচার করছে- এ অভিযোগ করে শফিকুল আলম বলেন, “সরকারকে জবাবদিহিতা করা সংবাদমাধ্যমের কাজ। আমরাও চাই আমাদের প্রতিটি কাজের সমালোচনা হোক। কিন্তু যিনি মিথ্যা বলছেন, তাকে গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ দিলে তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন।