ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জাতীয় সেমিনার করবে জামায়াতে ইসলামী Logo অনেক রাজনৈতিক দল মুখে সংস্কারের কথা বললেও অন্তরে ফ্যাসিবাদ লালন করছে: ভিপি নুর Logo নিখোঁজের ৩৭ ঘণ্টা পর ম্যানহোলে পড়া সেই নারীর লাশ উদ্ধার Logo রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার: আইএসপিআর Logo থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত Logo মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় বালুমহল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নয়ন-পিয়াস গ্রুপের গুলিতে নিহত স্যুটার মান্নান, গুলিবিদ্ধ-১ Logo চাঁদাবাজির সময় কালা মানিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ Logo দুই কিশোরকে মারধরের পরে বয়স ১৮ বছর দেখিয়ে মামলা Logo প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo হঠাৎ সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’

‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন তিনি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার ভবনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতায় ব্যর্থতা ছিল উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, “এই সময়ে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন ও অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিএনপি বারবার বলছে, তাদের নেতাকর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এগুলো নিয়ে আমরা কতটুকু সত্য সাংবাদিকতা করেছি- সেই আলাপ এখন হওয়া উচিত।”

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের জন্য আমরা চিঠি লিখছি। জাতিসংঘকে আমরা বলছি, আপনারা বাইরের বিশেষজ্ঞ দেন, তারা তদন্ত করুক- এখানে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই জায়গায় কাজ করার খুব প্রয়োজন, তাহলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ওপর একটা বিশ্বাস তৈরি হবে। আমরা নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করতে পারব। একজন সাংবাদিকের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- তিনি অপতথ্য দিচ্ছেন কি না, বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিগত সরকারের আমলে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, গত ১১ মাসে অন্তর্বতী সরকার মুক্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা কার্যকর জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যাতে সবাই সাংবাদিকতা করতে পারে। ইতোমধ্যে ডিজিটিাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন অ্যাক্ট করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না। গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ কেউ মিথ্যাচার করছে- এ অভিযোগ করে শফিকুল আলম বলেন, “সরকারকে জবাবদিহিতা করা সংবাদমাধ্যমের কাজ। আমরাও চাই আমাদের প্রতিটি কাজের সমালোচনা হোক। কিন্তু যিনি মিথ্যা বলছেন, তাকে গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ দিলে তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জাতীয় সেমিনার করবে জামায়াতে ইসলামী

‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’

আপডেট সময় ০৯:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন তিনি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার ভবনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতায় ব্যর্থতা ছিল উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, “এই সময়ে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন ও অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিএনপি বারবার বলছে, তাদের নেতাকর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এগুলো নিয়ে আমরা কতটুকু সত্য সাংবাদিকতা করেছি- সেই আলাপ এখন হওয়া উচিত।”

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের জন্য আমরা চিঠি লিখছি। জাতিসংঘকে আমরা বলছি, আপনারা বাইরের বিশেষজ্ঞ দেন, তারা তদন্ত করুক- এখানে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই জায়গায় কাজ করার খুব প্রয়োজন, তাহলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ওপর একটা বিশ্বাস তৈরি হবে। আমরা নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করতে পারব। একজন সাংবাদিকের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- তিনি অপতথ্য দিচ্ছেন কি না, বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিগত সরকারের আমলে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, গত ১১ মাসে অন্তর্বতী সরকার মুক্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা কার্যকর জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যাতে সবাই সাংবাদিকতা করতে পারে। ইতোমধ্যে ডিজিটিাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন অ্যাক্ট করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না। গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ কেউ মিথ্যাচার করছে- এ অভিযোগ করে শফিকুল আলম বলেন, “সরকারকে জবাবদিহিতা করা সংবাদমাধ্যমের কাজ। আমরাও চাই আমাদের প্রতিটি কাজের সমালোচনা হোক। কিন্তু যিনি মিথ্যা বলছেন, তাকে গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ দিলে তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন।