এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে আগেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবু শেষ ম্যাচে পেশাদারিত্বে কোনো ঘাটতি রাখলেন না কোচ পিটার বাটলার। শুরুর একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেননি তিনি।
শনিবার (৫ জুলাই) মিয়ানমারের ইয়াংগুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথমার্ধেই গোল-বৃষ্টি শুরু করে বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন ও মনিকা একের পর এক গোল করে দলকে বড় জয় এনে দেন।
মাত্র ২১ মিনিটেই স্কোরলাইন দাঁড়িয়ে যায় ৬-০। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে কর্নার থেকে ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত শটে আসে সপ্তম গোলটি। দুটি করে গোল করেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও ঋতুপর্ণা চাকমা। বাকি তিনটি গোল করেন স্বপ্না রানী, মনিকা চাকমা ও তহুরা খাতুন।
শুরুতেই চতুর্থ মিনিটে স্বপ্নার দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর গোল আসে যেন ঢেউয়ের পর ঢেউ—৬ মিনিটে শামসুন্নাহার, ১৩ মিনিটে আবারও তিনি, ১৬ মিনিটে মনিকা, ১৮ মিনিটে ঋতুপর্ণা, ২১ মিনিটে তহুরা এবং ৪০ মিনিটে আবারও ঋতুপর্ণা। প্রথমার্ধে ৭ গোলে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া ছিল না দল। তরুণদের সুযোগ দিতে তিনটি পরিবর্তন আনেন বাটলার।
রুপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা ও শিউলি আজিমকে তুলে স্বপ্না রানী মন্ডল, উমহেলা মারমা ও হালিমা আক্তারকে নামান। বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল করতে পারেনি। এদিকে তুর্কমেনিস্তানও পুরো ম্যাচেই কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। গোলরক্ষক বারবার জাল থেকে বল তুলে নিতে নিতে ক্লান্ত। একপর্যায়ে ঋতুপর্ণার একটি শটে হাত ফসকে হাস্যকর এক গোলও হজম করেন।