চট্টগ্রামের পটিয়া ও লালমনিরহাটের পাটগ্রামে থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্টজনরা। পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীতে দুই ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের সুপারিশ করেছেন আলোচকরা। শনিবার (৫ জুলাই) সকালে প্রেস ক্লাবে পুলিশ সংস্কার নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে এসব বিষয় উঠে আসে।
জুলাই অভ্যুত্থানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পুলিশ সংস্কারে কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ডিসেম্বরে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে কমিটি। কিন্তু পুলিশ বাহিনীতে এখনো কোনো সংস্কার হয়নি।
গোলটেবিলে এসবের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেন আলোচকরা। তাদের মতে, মব সন্ত্রাস বন্ধ করতেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘লোকজন নিয়ে পুলিশকে পিটিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যাবেন, তাহলে তো এখানে কোনো রাষ্ট্রই নেই। রাষ্ট্র কোথায়? তাহলে এই ব্যর্থতা তো পুলিশের এবং সরকারের।
আপনি ঠিক আছে, রাজনৈতিক দলকে আপনি যত ইচ্ছা দায়ী করতে পারেন বা বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন। কিন্তু সরকারকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে।’
আলোচনায় অংশ নেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও সাবেক আমলারা। পুলিশের জন্য আলাদা কমিশন গঠনের তাগিদ দেন তারা। বলেন, এদের কাজ হবে সদস্যদের কর্মঘণ্টা, পদোন্নতি, জবাবদিহিসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা।
একজন আলোচক বলেন, ‘পুলিশের জন্য আসলে একটি আলাদা আইন প্রয়োজন। তাদের প্রমোশন, ট্রান্সফার, ছুটি এবং কর্মঘণ্টা। অন্তর্বর্তী সরকার আছে, এটাই অপূর্ব সুযোগ। এখনই তো পুলিশ সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, যে বাধাগুলো আছে এগুলো পার হয়ে যাওয়া। দলীয় সরকার যেন একটা দায়বদ্ধতায় পড়ে।’
বৈঠকে পুলিশে দুই ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের কথা বলেন বক্তারা। পাশাপাশি পুলিশের হাতে ভারী অস্ত্র না রাখার আহ্বান জানান।