শুক্রবার ৫ জুলাই ২০২৪ সালের দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন। সেদিনও বিক্ষোভে উত্তাল ছিল সমগ্র দেশ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করেছিলেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর পাশাপাশি সব জেলা শহরে সড়ক অবরোধ, মিছিল ও মানববন্ধন করেন তারা।এদিন ৫ জুলাইয়ের কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা ৬ জুলাই প্রতিবাদ ও ৭ জুলাই দেশজুড়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন।
ছুটির দিনও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিল বের করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে মানববন্ধন করেন ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও ফুঁসে উঠেছিল বিক্ষোভে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকাল সাড়ে পাঁচটায় নগরীর ২ নম্বর গেট মোড়ে সিডিএ অ্যাভিনিউ অবরোধ করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকেলে খুলনার জিরো পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করেন। গোপালগঞ্জে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ করেন।
সেদিনও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও হয়রানি করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের ছাত্র ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টার পর শিক্ষার্থীরা হলে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। পরে হল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন) শীর্ষ নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।