কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় দ্রুতগতির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। এসময় অন্তত দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, হানিফ পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাওয়ার পথে মহাসড়কের গয়ালমারা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাত ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় চিরিংগা হাইওয়ে ও থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও চকরিয়া থানা পুলিশ।
উদ্ধারকারীরা জানান, রাত ৩টার দিকে বাসটি ক্রেনের সাহায্যে খাদ থেকে তোলা হয়। এ সময় এক যুবকের মরদেহ বাসের জানালায় ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। আরেক যাত্রীর মরদেহ বাসটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। বাসটিতে চালক-সহকারীসহ ৪০ জন ছিলেন বলে জানা গেছে।
যাত্রীদের দাবি, বৃষ্টিতে পিচ্ছিল সড়কে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। এই কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।
বাসটির যাত্রী কাজী সোহেল নামে এক যাত্রী সাংবাদিকদের জানান, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে চাকরিস্থলে আসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়া পর্যন্ত টিকিট কেটেছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম থেকে চুনতি পর্যন্ত বাসটি ধীরগতিতে চলছিল। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চালকের কথা-কাটাকাটিও হয়। তবে চুনতি পার হওয়ার পর বাসটি হঠাৎ দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, নিহত দুজনের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রয়েছে। বাসটিও উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
ঢাকা ভয়েস ২৪/সোভান