ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নির্বাচনে বিএনপিকে ঠেকাতে এক হচ্ছে ইসলামী দলগুলো

নির্বাচনে বিএনপিকে ঠেকাতে এক হচ্ছে ইসলামী দলগুলো, ছবি: সংগৃহীত

আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিপক্ষে শক্ত অবস্থান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে ইসলামী দলগুলো। জোট না করলেও, এরইমধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে একমত জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল।

গণঅভ্যুত্থানে পর পরিবর্তনের হাওয়া অন্য অনেক কিছুর মতো বদলে দিয়েছে রাজনীতির সমীকরণ। তাই ছেদ পড়েছে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় দুই যুগের গাটছড়ায়। অন্যদিকে, সাপেনেউলে সম্পর্ক ভুলে কাছে আসছে জামায়াত ও চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বড় পরিসরে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটলো শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে।

আক্বীদাগত মতপার্থক্য একপাশে রেখে, আগামী নির্বাচন ঘিরে সমাঝোতা হয়েছে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে। নির্বাচনে বিএনপির বিপরীতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চায় তারা।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, একটি বাক্সে যেন আমরা সবাই ভোট দিতে পারি। এটা আমাদের সমর্থকগোষ্ঠীরাও চায়। নেতৃবৃন্দ প্রায় কাছাকাছি মতে এসে গেছে। আমরা যে ঐক্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছি, গতকালের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ এটার একটা বার্তা বহন করে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, এবার যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক, অতএব এখানে আমরা যেটা অনুধাবন করছি যে, বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে আমাদের সঙ্গে একটা লড়াই হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, ইসলামী সব মত দল ঘরনাকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী নির্বাচনে আমরা সময়টা পার করবো। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে।

ইসলামী দলগুলো কোনো নির্বাচনি জোট করবে না। বরং, লক্ষ্য অর্জনে আসন ভাগাভাগি করবে সমাঝোতার ভিত্তিতে। যেখানে থাকছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ বেশ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, জোটের ফরম্যাটে আমরা যাচ্ছি না। যেখানে যার সম্ভাবনা বেশি থাকবে তাকে সমর্থন দেয়া হবে। কিছু কিছু সংগঠন আছে যাদের কোনো জায়গাতেই সম্ভাবনা নেই। সেজন্য যাদের একটু শক্তি সামর্থ্য বেশি তাদের বেশি চাপ দিতে হবে। এমন উদারতার মনোভাব আমাদের সবার মধ্যেই রয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, আমরা সমঝোতাকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আলাপ আলোচনা চলছে অগ্রগতি আছে। এই অগ্রগতির শেষ পর্যায়ে কি হয় এটা এখন বলা যাবে না।

স্থানীয় সরকার ভোট, সংস্কারের পরে জাতীয় নির্বাচন ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ বেশকিছু বিষয়ে আপাতত একমত ইসলামী দলগুলো। অচিরেই আরও বিস্তারিত সামনে আনবে তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী

নির্বাচনে বিএনপিকে ঠেকাতে এক হচ্ছে ইসলামী দলগুলো

আপডেট সময় ০৬:৪২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিপক্ষে শক্ত অবস্থান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে ইসলামী দলগুলো। জোট না করলেও, এরইমধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে একমত জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল।

গণঅভ্যুত্থানে পর পরিবর্তনের হাওয়া অন্য অনেক কিছুর মতো বদলে দিয়েছে রাজনীতির সমীকরণ। তাই ছেদ পড়েছে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় দুই যুগের গাটছড়ায়। অন্যদিকে, সাপেনেউলে সম্পর্ক ভুলে কাছে আসছে জামায়াত ও চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বড় পরিসরে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটলো শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে।

আক্বীদাগত মতপার্থক্য একপাশে রেখে, আগামী নির্বাচন ঘিরে সমাঝোতা হয়েছে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে। নির্বাচনে বিএনপির বিপরীতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চায় তারা।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, একটি বাক্সে যেন আমরা সবাই ভোট দিতে পারি। এটা আমাদের সমর্থকগোষ্ঠীরাও চায়। নেতৃবৃন্দ প্রায় কাছাকাছি মতে এসে গেছে। আমরা যে ঐক্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছি, গতকালের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ এটার একটা বার্তা বহন করে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, এবার যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক, অতএব এখানে আমরা যেটা অনুধাবন করছি যে, বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে আমাদের সঙ্গে একটা লড়াই হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, ইসলামী সব মত দল ঘরনাকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী নির্বাচনে আমরা সময়টা পার করবো। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে।

ইসলামী দলগুলো কোনো নির্বাচনি জোট করবে না। বরং, লক্ষ্য অর্জনে আসন ভাগাভাগি করবে সমাঝোতার ভিত্তিতে। যেখানে থাকছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ বেশ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, জোটের ফরম্যাটে আমরা যাচ্ছি না। যেখানে যার সম্ভাবনা বেশি থাকবে তাকে সমর্থন দেয়া হবে। কিছু কিছু সংগঠন আছে যাদের কোনো জায়গাতেই সম্ভাবনা নেই। সেজন্য যাদের একটু শক্তি সামর্থ্য বেশি তাদের বেশি চাপ দিতে হবে। এমন উদারতার মনোভাব আমাদের সবার মধ্যেই রয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, আমরা সমঝোতাকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আলাপ আলোচনা চলছে অগ্রগতি আছে। এই অগ্রগতির শেষ পর্যায়ে কি হয় এটা এখন বলা যাবে না।

স্থানীয় সরকার ভোট, সংস্কারের পরে জাতীয় নির্বাচন ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ বেশকিছু বিষয়ে আপাতত একমত ইসলামী দলগুলো। অচিরেই আরও বিস্তারিত সামনে আনবে তারা।