ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়পুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব তিনটি পরিবার

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলাধীন ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব চরবগায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনটি পরিবার।

মঙ্গলবার (১ লা জুলাই) দুপুর আনুমানিক ২ টায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বিধ্বস্ত হয় বিধবা ফাতেমা বেগম, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আবুল খায়ের ও রাজমিস্ত্রি শাহিন পাটওয়ারীর বসতঘর।

ভুক্তভোগী রায়পুর কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা আবুল খায়ের জানান, সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পাশের একটি ঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার ঘরে। এরপর দ্রুত পুরো ঘরে এবং আশেপাশের ঘরগুলোতে পৌঁছে যায়। এই ঘটনায় তিনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার সময় মাওলানা খায়েরের বৃদ্ধা মা ঘরের ভেতরেই ছিলেন। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের প্রতিবেশী ছুটে এসে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে তিনটি ঘরই সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

অপর ভুক্তভোগী বিধবা ফাতেমা বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি আর্থিকভাবে চরম দুরবস্থায় আছেন। একটি ছোট ছেলে ছাড়া তার আর কেউ নেই। আগুনে তার ঘর ও সামান্য জমানো সম্পদ পুড়ে যাওয়ায় তিনি একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, “এখন কই যামু? ছাওয়ার নাই, খাবার নাই… সবাই সাহায্য না করলে আমি আর চলতে পারবো না।”

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সুত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে পূর্ণ তদন্তের পর চূড়ান্ত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা ও পূনর্বাসনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান ভুক্তভোগীগণ ও এলাকাবাসী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্দোলনের মুখে পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নুরকে প্রত্যাহার

রায়পুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব তিনটি পরিবার

আপডেট সময় ১০:৪০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলাধীন ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব চরবগায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনটি পরিবার।

মঙ্গলবার (১ লা জুলাই) দুপুর আনুমানিক ২ টায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বিধ্বস্ত হয় বিধবা ফাতেমা বেগম, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আবুল খায়ের ও রাজমিস্ত্রি শাহিন পাটওয়ারীর বসতঘর।

ভুক্তভোগী রায়পুর কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা আবুল খায়ের জানান, সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পাশের একটি ঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার ঘরে। এরপর দ্রুত পুরো ঘরে এবং আশেপাশের ঘরগুলোতে পৌঁছে যায়। এই ঘটনায় তিনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার সময় মাওলানা খায়েরের বৃদ্ধা মা ঘরের ভেতরেই ছিলেন। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের প্রতিবেশী ছুটে এসে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে তিনটি ঘরই সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

অপর ভুক্তভোগী বিধবা ফাতেমা বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি আর্থিকভাবে চরম দুরবস্থায় আছেন। একটি ছোট ছেলে ছাড়া তার আর কেউ নেই। আগুনে তার ঘর ও সামান্য জমানো সম্পদ পুড়ে যাওয়ায় তিনি একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, “এখন কই যামু? ছাওয়ার নাই, খাবার নাই… সবাই সাহায্য না করলে আমি আর চলতে পারবো না।”

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সুত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে পূর্ণ তদন্তের পর চূড়ান্ত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা ও পূনর্বাসনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান ভুক্তভোগীগণ ও এলাকাবাসী।