ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মেরুল বাড্ডার একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ধ্রুব (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ১২টায় অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ধ্রুব বরিশালের কাউনিয়া উপজেলার শামসুজ্জামান বাবুলের ছেলে। বর্তমানে মেরুল বাড্ডার একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

তার চাচা মো. সাদিকুর রহমান বলেছেন, ধ্রুবর মা-বাবা বরিশালে বসবাস করেন। তিনি ঢাকার মেরুল বাড্ডার একটি বাসায় ভাড়া থেকে লেখাপড়া করতেন। গতকাল বিকেলে তাকে কয়েকবার কল করেছি। কিন্তু ধ্রুব ফোন রিসিভ করেননি। পরে বরিশাল থেকে তার মা আমাকে কল করে জানান, তাদের কলও ধ্রুব রিসিভ করছেন না। পরে আমি রাতে ধ্রুবর বাসায় গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানাই। পরে বাড্ডা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভাঙে এবং আমরা দেখি, গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে ধ্রুব। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ধ্রুব আর বেঁচে নেই।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, রাতের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত অচেতন দেহটি উদ্ধার করি। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ওই শিক্ষার্থী আর বেঁচে নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষার্থীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম বলেন, রাতের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত অচেতন দেহটি উদ্ধার করি। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ওই শিক্ষার্থী আর বেঁচে নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষার্থীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ট্যাগস :

দখল-দূষণে মৃতপ্রায় লক্ষ্মীপুরের ভুলুয়া নদী

তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:১৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মেরুল বাড্ডার একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ধ্রুব (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ১২টায় অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ধ্রুব বরিশালের কাউনিয়া উপজেলার শামসুজ্জামান বাবুলের ছেলে। বর্তমানে মেরুল বাড্ডার একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

তার চাচা মো. সাদিকুর রহমান বলেছেন, ধ্রুবর মা-বাবা বরিশালে বসবাস করেন। তিনি ঢাকার মেরুল বাড্ডার একটি বাসায় ভাড়া থেকে লেখাপড়া করতেন। গতকাল বিকেলে তাকে কয়েকবার কল করেছি। কিন্তু ধ্রুব ফোন রিসিভ করেননি। পরে বরিশাল থেকে তার মা আমাকে কল করে জানান, তাদের কলও ধ্রুব রিসিভ করছেন না। পরে আমি রাতে ধ্রুবর বাসায় গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানাই। পরে বাড্ডা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভাঙে এবং আমরা দেখি, গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে ধ্রুব। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ধ্রুব আর বেঁচে নেই।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, রাতের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত অচেতন দেহটি উদ্ধার করি। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ওই শিক্ষার্থী আর বেঁচে নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষার্থীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম বলেন, রাতের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত অচেতন দেহটি উদ্ধার করি। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ওই শিক্ষার্থী আর বেঁচে নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষার্থীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।