ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেলের দামে বড় পতন হতে পারে

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হতে পারে। কয়েক দফায় দাম কমে তা স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছানোর ইঙ্গিত মিলছে। সে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বাড়বে উৎপাদনও।সোমবার (৩০ জুন) এক নোটে মরগান স্ট্যানলি এ অনুমান জানায়। খবর রয়টার্সের।

মরগান স্ট্যানলি একটি বিখ্যাত বহুজাতিক আর্থিক পরিষেবা সংস্থা। এটি বিনিয়োগ ব্যাংকিং, সিকিউরিটিজ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করে। উইকিপিডিয়া অনুসারে, বিশ্বজুড়ে ৪০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে মরগান স্ট্যানলি।

মরগান স্ট্যানলি বলেছে, বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় এবং ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি কমে আসার পর আগামী বছরের শুরুতে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি প্রায় ৬০ ডলারে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যাংকটি আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ সালে ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলো থেকে সরবরাহ বৃদ্ধির তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা প্রতি বছর প্রতিদিন ১০ লক্ষ ব্যারেল হবে। এ সময়ের চাহিদা বৃদ্ধি মোকাবিলায় যথেষ্ট।

ব্যাংকটি জানিয়েছে, ওপেক তার উৎপাদন কোটা কমানো অব্যাহত রেখেছে। আমরা এখনও ২০২৬ সালে প্রতিদিন প্রায় ১.৩ মিলিয়ন ব্যারেল অতিরিক্ত সরবরাহ আশা করছি।

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন এবং রাশিয়াসহ মিত্ররা ওপেক নামে পরিচিত। মে থেকে জুলাই মাসে প্রতিদিন ৪১১,০০০ ব্যারেল তেল বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে তারা। ফলে এপ্রিলের চেয়ে উৎপাদন ক্রমশ বাড়ছে।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর বিশ্লেষকরা তাদের তেলের দামের পূর্বাভাস সামান্য বাড়িয়েছেন। তবে ওপেক সরবরাহ বৃদ্ধি এবং চাহিদার হ্রাসের সম্ভাবনা অপরিশোধিত তেলের উপর প্রভাব ফেলছে। সোমবার রয়টার্সের এক জরিপে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে।

সোমবার ব্রেন্ট ফিউচারের দাম ১৬ সেন্ট বা ০.২% কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৭.৬১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের অপরিশোধিত তেলের দাম ৪১ সেন্ট বা ০.৬% কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৫.১১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সাথে শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধের ফলে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের উপরে উঠে যায়। এমনকি তখন তেলের দাম ১০০ ডলার হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য পরে তা দ্রুত ৬৭ ডলারে নেমে আসে।

অ্যাগেইন ক্যাপিটালের অংশীদার জন কিল্ডাফ বলেন, ‘দ্রুতগতিতে করা এই যুদ্ধবিরতি টিকে গেছে বলে মনে হচ্ছে। তাই সরবরাহ ঝুঁকির যে আশঙ্কা ছিল তা দ্রুত প্রত্যাহার করা হচ্ছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেমিট্যান্সে রেকর্ড, জুলাইয়ের ৩০ দিনে এলো ২৩৭ কোটি ডলার

তেলের দামে বড় পতন হতে পারে

আপডেট সময় ১০:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হতে পারে। কয়েক দফায় দাম কমে তা স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছানোর ইঙ্গিত মিলছে। সে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বাড়বে উৎপাদনও।সোমবার (৩০ জুন) এক নোটে মরগান স্ট্যানলি এ অনুমান জানায়। খবর রয়টার্সের।

মরগান স্ট্যানলি একটি বিখ্যাত বহুজাতিক আর্থিক পরিষেবা সংস্থা। এটি বিনিয়োগ ব্যাংকিং, সিকিউরিটিজ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করে। উইকিপিডিয়া অনুসারে, বিশ্বজুড়ে ৪০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে মরগান স্ট্যানলি।

মরগান স্ট্যানলি বলেছে, বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় এবং ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি কমে আসার পর আগামী বছরের শুরুতে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি প্রায় ৬০ ডলারে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যাংকটি আরও জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ সালে ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলো থেকে সরবরাহ বৃদ্ধির তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা প্রতি বছর প্রতিদিন ১০ লক্ষ ব্যারেল হবে। এ সময়ের চাহিদা বৃদ্ধি মোকাবিলায় যথেষ্ট।

ব্যাংকটি জানিয়েছে, ওপেক তার উৎপাদন কোটা কমানো অব্যাহত রেখেছে। আমরা এখনও ২০২৬ সালে প্রতিদিন প্রায় ১.৩ মিলিয়ন ব্যারেল অতিরিক্ত সরবরাহ আশা করছি।

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন এবং রাশিয়াসহ মিত্ররা ওপেক নামে পরিচিত। মে থেকে জুলাই মাসে প্রতিদিন ৪১১,০০০ ব্যারেল তেল বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে তারা। ফলে এপ্রিলের চেয়ে উৎপাদন ক্রমশ বাড়ছে।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর বিশ্লেষকরা তাদের তেলের দামের পূর্বাভাস সামান্য বাড়িয়েছেন। তবে ওপেক সরবরাহ বৃদ্ধি এবং চাহিদার হ্রাসের সম্ভাবনা অপরিশোধিত তেলের উপর প্রভাব ফেলছে। সোমবার রয়টার্সের এক জরিপে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে।

সোমবার ব্রেন্ট ফিউচারের দাম ১৬ সেন্ট বা ০.২% কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৭.৬১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের অপরিশোধিত তেলের দাম ৪১ সেন্ট বা ০.৬% কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৫.১১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সাথে শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধের ফলে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের উপরে উঠে যায়। এমনকি তখন তেলের দাম ১০০ ডলার হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য পরে তা দ্রুত ৬৭ ডলারে নেমে আসে।

অ্যাগেইন ক্যাপিটালের অংশীদার জন কিল্ডাফ বলেন, ‘দ্রুতগতিতে করা এই যুদ্ধবিরতি টিকে গেছে বলে মনে হচ্ছে। তাই সরবরাহ ঝুঁকির যে আশঙ্কা ছিল তা দ্রুত প্রত্যাহার করা হচ্ছে।’