আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান ও শ্রীনগর) আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন রাজী। দলীয়ভাবে তার প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
স্থানীয় জনগণ, আলেম সমাজ ও যুবকদের মধ্যে তার প্রতি আস্থা ও সমর্থন জোরালোভাবে প্রকাশ পেয়েছে। জনমতের ভিত্তিতে অনেকেই বলছেন— “ধানের শীষ, নৌকা তো অনেকবার দেখেছি; এবার না হয় একবার দাঁড়িপাল্লার কথাও ভাবা যাক।” তারা আশা প্রকাশ করেন, ইসলামী ঘরানার দলগুলো একত্র হয়ে একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হবে।
প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকে মাওলানা ফখরুদ্দিন রাজী ব্যাপক গণসংযোগে নেমেছেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে ঈদ পরবর্তী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন, ইফতার মাহফিল, শোডাউন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং শহীদ পরিবার, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এতে করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে তিনি একজন সৎ, দক্ষ ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবারের জাতীয় নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে এ কে এম ফখরুদ্দিন রাজী বড় ধরনের চমক দেখাতে পারেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “সবাই তো একাধিকবার সুযোগ পেয়েছে, এবার দেশের স্বার্থে একবার ইসলামি আদর্শে বিশ্বাসী প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া উচিত।”
তাদের মতে, দীর্ঘ ত্রিশ বছর পর সিরাজদিখান-শ্রীনগরে জামায়াতের ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হতে পারে।