ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জনগণের আস্থার শীর্ষে জামায়াত প্রার্থী এ.কে.এম ফখরুদ্দিন রাজী Logo মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত, বাসচালক গ্রেপ্তার Logo নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ঢাবি ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি Logo হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল Logo মব নয়, এটি সাংবাদিকতার ব্যর্থতারে ফল প্রেসার গ্রুপ: প্রেস সচিব Logo এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে Logo ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান Logo ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি Logo পিআর ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীরা দেশের আদর্শে বিশ্বাসী নয়: মঈন খান Logo ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫-২৬ অর্থবছরে জবির বাজেট ২৯৭ কোটি ৮২ লক্ষ

নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ঢাবি ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি

শিক্ষাবর্ষে নবাগত শিক্ষার্থীদের আবাসনসংক্রান্ত সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

স্মারকলিপিতে ছাত্রশিবির জানায়, সদ্য ভর্তি হওয়া ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ২ জুলাই শুরু হচ্ছে, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও তাদের জন্য কোনো আবাসন পরিকল্পনা বা সময়সীমা জানায়নি। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আবাসনের বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা আরও তীব্র।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায়, প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের বৈধ হলে সিট পাওয়া একটি মৌলিক ও ন্যায্য অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে ছাত্রশিবির তাদের চার দফা দাবি পেশ করে:

দাবিসমূহ:

১. আবাসন পরিকল্পনা: অবিলম্বে নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনসংক্রান্ত সুস্পষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ ও আগের শিক্ষার্থীদের মেয়াদোত্তীর্ণ সিট বাতিল করে নবীনদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে। সিট বরাদ্দে স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

২. অস্থায়ী হোস্টেল: সিট সংকট সমাধানে ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেখান থেকে প্রয়োজন ও মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩. আবাসনভাতা: সাময়িক সমাধান হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা হারে আবাসনভাতা চালু করতে হবে, যা সিট বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

৪. গণরুম সংস্কৃতি রোধ: পূর্বের গণঅভ্যুত্থানে প্রত্যাখ্যাত গণরুম সংস্কৃতিকে যেন পুনরায় চাপিয়ে দেওয়া না হয় এবং কোনো অবস্থাতেই সংকটের অজুহাতে গণরুম চালু না করার আহ্বান জানানো হয়।

ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অচিরেই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলে, “আবাসন অধিকারকে উপেক্ষা করে নতুন শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করা এক ধরনের অবিচার।”

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জনগণের আস্থার শীর্ষে জামায়াত প্রার্থী এ.কে.এম ফখরুদ্দিন রাজী

নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ঢাবি ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি

আপডেট সময় ১০:১৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

শিক্ষাবর্ষে নবাগত শিক্ষার্থীদের আবাসনসংক্রান্ত সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

স্মারকলিপিতে ছাত্রশিবির জানায়, সদ্য ভর্তি হওয়া ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ২ জুলাই শুরু হচ্ছে, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও তাদের জন্য কোনো আবাসন পরিকল্পনা বা সময়সীমা জানায়নি। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আবাসনের বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা আরও তীব্র।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায়, প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের বৈধ হলে সিট পাওয়া একটি মৌলিক ও ন্যায্য অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে ছাত্রশিবির তাদের চার দফা দাবি পেশ করে:

দাবিসমূহ:

১. আবাসন পরিকল্পনা: অবিলম্বে নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনসংক্রান্ত সুস্পষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ ও আগের শিক্ষার্থীদের মেয়াদোত্তীর্ণ সিট বাতিল করে নবীনদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে। সিট বরাদ্দে স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

২. অস্থায়ী হোস্টেল: সিট সংকট সমাধানে ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেখান থেকে প্রয়োজন ও মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩. আবাসনভাতা: সাময়িক সমাধান হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা হারে আবাসনভাতা চালু করতে হবে, যা সিট বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

৪. গণরুম সংস্কৃতি রোধ: পূর্বের গণঅভ্যুত্থানে প্রত্যাখ্যাত গণরুম সংস্কৃতিকে যেন পুনরায় চাপিয়ে দেওয়া না হয় এবং কোনো অবস্থাতেই সংকটের অজুহাতে গণরুম চালু না করার আহ্বান জানানো হয়।

ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অচিরেই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলে, “আবাসন অধিকারকে উপেক্ষা করে নতুন শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করা এক ধরনের অবিচার।”