ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জনগণের আস্থার শীর্ষে জামায়াত প্রার্থী এ.কে.এম ফখরুদ্দিন রাজী Logo মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত, বাসচালক গ্রেপ্তার Logo নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ঢাবি ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি Logo হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল Logo মব নয়, এটি সাংবাদিকতার ব্যর্থতারে ফল প্রেসার গ্রুপ: প্রেস সচিব Logo এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে Logo ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান Logo ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি Logo পিআর ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীরা দেশের আদর্শে বিশ্বাসী নয়: মঈন খান Logo ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫-২৬ অর্থবছরে জবির বাজেট ২৯৭ কোটি ৮২ লক্ষ

নোয়াখালীতে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ

অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে নোয়াখালীর চাটখিলে মাদ্রাসার এক অধ্যক্ষকে মারধর করেছেন যুবদল নেতা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালতলা মহিলা আলিম মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন চাটখিলের নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন।

অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী জানিয়েছেন, বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন সচিবের নাম প্রস্তাব করে একটি অ্যাডহক কমিটি জমা দিয়েছেন। ওই কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজ সকালে অভিযোগ তদন্ত করতে মাদ্রাসায় যান। শিক্ষা কর্মকর্তা যখন তদন্ত করছিলেন, তখন যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন ও তার লোকজন হট্টগোল করে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করেন। তারপর শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে মাদ্রাসা এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় জসিম উদ্দিন অধ্যক্ষের সঙ্গে মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে অধ্যক্ষকে মারধর করেন জসিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন জানান, অধ্যক্ষের গঠন করা প্রস্তাবিত অ্যাডহক কমিটির বিপক্ষে তারা ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগের তদন্ত আজ হয়েছে। তবে অধ্যক্ষের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়নি। অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব প্রচার করছেন।

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা জাকির হোসেন নামের একজনের নাম কমিটিতে নাম প্রস্তাব করেছি। অধ্যক্ষ সেটা বিবেচনায় না নিয়ে সাবেক এক সচিবের নাম প্রস্তাব করেছেন। অথচ ওই ব্যক্তি ঠিকমতো এলাকায় আসেন না। এলাকার কেউই তাকে ওই দায়িত্বে দেখতে চান না।’

ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, ‘অধ্যক্ষ তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। বিস্তারিত শুনে তাকে পুরো ঘটনা উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দিতে পরামর্শ দিয়েছি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জনগণের আস্থার শীর্ষে জামায়াত প্রার্থী এ.কে.এম ফখরুদ্দিন রাজী

নোয়াখালীতে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:০২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে নোয়াখালীর চাটখিলে মাদ্রাসার এক অধ্যক্ষকে মারধর করেছেন যুবদল নেতা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালতলা মহিলা আলিম মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন চাটখিলের নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন।

অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী জানিয়েছেন, বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন সচিবের নাম প্রস্তাব করে একটি অ্যাডহক কমিটি জমা দিয়েছেন। ওই কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজ সকালে অভিযোগ তদন্ত করতে মাদ্রাসায় যান। শিক্ষা কর্মকর্তা যখন তদন্ত করছিলেন, তখন যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন ও তার লোকজন হট্টগোল করে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করেন। তারপর শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে মাদ্রাসা এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় জসিম উদ্দিন অধ্যক্ষের সঙ্গে মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে অধ্যক্ষকে মারধর করেন জসিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন জানান, অধ্যক্ষের গঠন করা প্রস্তাবিত অ্যাডহক কমিটির বিপক্ষে তারা ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগের তদন্ত আজ হয়েছে। তবে অধ্যক্ষের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়নি। অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব প্রচার করছেন।

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা জাকির হোসেন নামের একজনের নাম কমিটিতে নাম প্রস্তাব করেছি। অধ্যক্ষ সেটা বিবেচনায় না নিয়ে সাবেক এক সচিবের নাম প্রস্তাব করেছেন। অথচ ওই ব্যক্তি ঠিকমতো এলাকায় আসেন না। এলাকার কেউই তাকে ওই দায়িত্বে দেখতে চান না।’

ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, ‘অধ্যক্ষ তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। বিস্তারিত শুনে তাকে পুরো ঘটনা উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দিতে পরামর্শ দিয়েছি।’