ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান Logo মোটরসাইকেল জব্দ করায় থানায় হামলা, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রদল Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ Logo জুমার পর সবাইকে আন্দোলন মঞ্চে আসার ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর Logo ‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’প্রশ্ন সাদিক কায়েমর Logo যমুনার সামনে রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে যায় দৃশ্যপট Logo সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে Logo স্ক্রিনশট স্ক্যান করেই লোকেশন খুঁজে দেবে গুগল ম্যাপ Logo ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’:যুক্তরাষ্ট্র

১৫ মাস পর জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। এই আদেশের ফলে তাঁর মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম আর খাদিজার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস।

এর আগে চলতি বছরের ১০ জুলাই খাদিজার জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আজ শুনানির জন্য ওঠে।

খাদিজাতুল কুবরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে একটি রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়।

গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক রয়েছেন।

বিচারিক আদালতে দুবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হলে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান চেম্বার আদালত। পরে ১০ জুলাই আপিল বিভাগ জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রেখে শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান

১৫ মাস পর জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

আপডেট সময় ০২:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। এই আদেশের ফলে তাঁর মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম আর খাদিজার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস।

এর আগে চলতি বছরের ১০ জুলাই খাদিজার জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আজ শুনানির জন্য ওঠে।

খাদিজাতুল কুবরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে একটি রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়।

গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক রয়েছেন।

বিচারিক আদালতে দুবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হলে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান চেম্বার আদালত। পরে ১০ জুলাই আপিল বিভাগ জামিন স্থগিতের আদেশ বহাল রেখে শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করেন।